॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন গ্রীস্ম ও বর্ষাকালে মৌসুমী রোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি এবং পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জনপ্রত্যাশিত সেবা, নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করন এবং জনদুভোর্গ লাগবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধনমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভা কক্ষে গতকাল ৪ঠা মার্চ বিকালে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও বিভাগের সচিব এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার মৌসুমী রোগ প্রতিরোধ বিশেষ করে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মৌসুমী রোগ প্রতিরোধের প্রস্তুতি, এডিস, কিউলেক্স, অ্যানাফেলিস প্রভৃতি মশা নির্মূলে গৃহীত পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি, মশক নির্মূলের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জামাদি যথাসময়ে সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় লোকবল মোতায়েন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও জনসচেতনতা মূলক প্রচারের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে পবিত্র রমজানে জনপ্রত্যাশিত সেবা, নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও জনদুর্ভোগ লাঘব-নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, বিপনী বিতান, বাস-ট্রেন-লঞ্চ স্টেশনসহ জনপরিসরের নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপ, গণ-উপদ্রব (প্রতারণা, ছিনতাই প্রভৃতি) প্রতিরোধ, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মহানগরীসমূহের যানজট নিরসনে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, খাদ্য মন্ত্রণালয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ ও জননিরাপত্তা বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ- রমজান মাসে বিশেষ করে ইফতার, তারাবিসহ নামাজ ও সেহরীর সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং রেল যাত্রা- রেলের টিকেট প্রাপ্তি সহজলভ্য করার পদক্ষেপ, টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধ, সিডিউল বিপর্যয় নিরসনেরেলপথ মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, জননিরাপত্তা বিভাগ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগকে সড়কযাত্রা- বাস স্টেশনসমূহের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, মহাসড়কের শৃঙ্খলা, যানজট নিরসন, বিভিন্ন রুটে বিআরটিসির বাস সংখ্যা বৃদ্ধি, টিকেট প্রাপ্তির সহজলভ্যতা, রাস্তা ও সেতু সংস্কার নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
নৌযাত্রা-ফেরী চলাচল/ফেরীর সংখ্যা বৃদ্ধি, নৌ-ঘাট, ফেরী ঘাট ব্যবস্থাপনা, নৌযানের মান নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ঝুঁকিমুক্তি নৌ-চলাচল নিশ্চিতকরণ, টিকেট প্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিমান যাত্রা অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি, টিকেটের মূল্য এবং শিল্প কল-কারখানার কর্মীদের যথাসময়ে মজুরী প্রদান ও ছুটি- গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন যথাসময়ে পরিশোধ, গার্মেন্টস কর্মীদের ছুটি পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রদান, পাটকল শ্রমিকদের যথাসময়ের মজুরি প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করা হয়।