বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব ব্যাংকের ১২বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা তহবিল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০

॥খোন্দকার আব্দুল মতিন, Khondaker Abdul Motin॥ প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ বৈশ্বিকভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া রোগটির স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রাথমিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ গঠন করেছে।
গতকাল ৪ঠা মার্চ বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে এই মহামারি মোকাবেলা এবং সম্ভব হলে বিরূপ প্রভাব হ্রাস করতে সহায়তার লক্ষে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।
এই নতুন প্যাকেজের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে অধিকতর উন্নয়ন চিকিৎসা, রোগ পর্যবেক্ষণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ তাদের স্বাস্থ্যসেবা খাত জোরদারে সহায়তা দেবে। পাশাপাশি এই প্যাকেজ অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব হ্রাসে বেসরকারি খাতের সাথেও কাজ করবে। এই প্যাকেজ দেশভিত্তিক সহায়তায় লক্ষ্যে বৈশ্বিকভাবে সমন্বয় সাধন করবে। আইডিএ, আইবিআরডি ও আএফসি এর মাধ্যমে এই প্যাকেজের অর্থায়ন হয়েছে।
এই করোনা ভাইরাস সাপোর্ট প্যাকেজে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আপৎকালীন তহবিল পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নতুন। বাকি অর্থের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইবিআরডি থেকে ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আইডিএ’র ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়াও অগ্রাধিকার বিন্যাশের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের প্রচলিত খাত থেকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আইএফসি থেকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করা হবে।এই ৬ বিলিয়নের মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদ্যমান ব্যবসা পদ্ধতির মধ্য থেকেই সংগ্রহ করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মালপাস বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগের একটি দ্রুত প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওই দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছি তার মধ্যে রয়েছে জরুরী অর্থায়ন, নীতি পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা।’
বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার, রোগ পর্যবেক্ষণ, মাঠ পার্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ, জনমনে উদ্বেগ দূর করে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় কাজ করবে। এছাড়াও সংস্থাটি দরিদ্রতম রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করবে। আইএফসি বাণিজ্যিক অর্থায়ন বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে কাজ করবে। আইএফসি মজুদ ঠিক রাখতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ফার্মাসিউটিক্যালসকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরাসরি কর্পোরেট গ্রাহকদের সহায়তা করবে। বিশ্ববাসী করোনার প্রভাবে বিভিন্ন মাত্রার ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তার প্রয়োজন।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ দরিদ্রতম দেশ ও যাদের এই প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বেশি অথচ তা মোকাবেলার সক্ষমতা কম সেই দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!