॥স্টাফ রিপোর্টার॥ এপ্রিল মাস থেকে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক জেলাগুলোর সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল ১৯শে ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের সকল সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মোট ২৯টি সম্মেলন করেছি। এর মধ্যে ২টি ঢাকা সিটির। কিন্তু ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত কোন সম্মেলন হয়নি। অনেক জায়গায় দেখা যায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছে, ৮/১০ বছর হয়ে গেছে আর কেউ নাই, পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিচ্ছে, অনুমোদন পেতে পেতে ছয় মাস। সম্মেলন করতে বললে বলেন আমাদের তো মেয়াদ শেষ হয়নি। সম্মেলন যেদিন থেকে হবে, ক্ষণগণনাও সেদিন থেকে হবে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে সকলকে এ ব্যাপারে শিক্ষা নিতে হবে। ঘরে বসে কমিটি করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সম্মেলন ছাড়া কোন কমিটি করা যাবে না। অনেক সময় জেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। এটা হবে না। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোন কমিটি ভাঙা যাবে না। কমিটি ভাঙতে হলে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করতে হবে। নেত্রী পর্যন্ত বিষয়টি গড়াবে। সেখানেই ফাইনাল সিদ্ধান্ত হবে যে, কমিটি ভাঙার জন্য সুপারিশ যথাযথ কিনা। কোনো কারণে আপনার সাথে বনিবনা হল না, যে কাউকে বহিষ্কার করে দিলেন। এভাবে বহিষ্কার করা যাবে না। কমিটি নিয়ে বসতে হবে। কমিটির কাছে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করতে পারেন। কিন্তু সরাসরি বহিষ্কার করতে পারবেন না।’
তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের দল ভারি করার জন্য বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে টানবেন না। তাহলে দল শক্তিশালী হবে না, দুর্বল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় আছে বলে সাংগঠনিক দুর্বলতা উপলদ্ধি করতে পারছেন না। দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলে সরকার কখনই শক্তিশালী হবে না। শক্তিশালী সরকার তখনই হবে যখন আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। আমাদের সকল চাহিদাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই পূরণ করছেন। দল যদি শক্তিশালী থাকে তাহলে যে কোনো পরিস্থিত মোকাবেলা করতে পারব। যার যার জায়গা থেকে অবস্থান নিতে পারব।
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আব্দুর রহমান ও শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপব বড়ুয়া,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি।