॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন রাজবাড়ী জেলায় ১৩১ জন রাজস্ব খাতভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সঠিকভাবে মহিলা কোটা সংরক্ষণ না করার অভিযোগে পাংশা উপজেলার পাট্টা গ্রামের তাছলিমা সুলতানা নামে একজন চাকুরী প্রার্থী নারীর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানী শেষে গতকাল ৪ঠা ফেব্রুয়ারী সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মোঃ মাহমুদ হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকায় থাকা উক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশের আদেশ দেন। রিট পিটিশন নং-১৪৫৪/২০২০।
রিটকারীর পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সিনিয়র এডভোকেট ও সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি এ.এস.এম মোক্তার কবির খান জানান, ২০১৩ সালের সার্কুলার ও নীতিমালা এবং ২০১৯ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০% মহিলা কোটা সংরক্ষণ করার কথা। সে অনুযায়ী রাজবাড়ী জেলায় ১৩১ জনের মধ্যে ৭৯ জন মহিলা কোটায় নিয়োগ পাবে। কিন্তু ৫৮ জন মহিলা প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা নির্ধারিত কোটার চেয়ে ২১ জন কম। এতে সংক্ষুদ্ধ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়া চাকরী প্রার্থী তাছলিমা সুলতানা সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিটটি দায়ের করেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যুগ্ম-সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন), তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, বিগত ৩০/৭/২০১৮ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের আলোকে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে গত ২৪/১২/২০১৯ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রাজবাড়ী জেলার ১৩১জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন পূর্বক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।