॥স্টাফ রিপোর্টার॥ যথাযথ মর্যাদায় আড়ম্বরপূর্ণভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে গতকাল ৩০শে জানুয়ারী বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, এমপি’র সভাপতিত্বে আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৭ই মার্চ টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং এ উপলক্ষে গার্ড অব অনার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবে ১০০ জন শিশু শিল্পীর অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ১০০টি পায়রা অবমুক্তকরণ ও ১০০টি বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখা নিয়ে বিশেষ প্রকাশনা এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় সেরা ১০০টি রচনার সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মেধাবী শিশুদের মাঝে ১০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে। সাংস্কৃতিক পর্বে থাকবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কাব্য নৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বই মেলা উদ্বোধন এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারসহ এই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদায় আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপনে সকলের সহযোগিত কামনা করেন।
তিনি সভায় জানান, মুজিব শতবর্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক লাখ নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে। মুজিব শতবর্ষ হবে বাংলাদেশে বাল্য বিয়ে বন্ধের ভিত্তি বছর। বাল্য বিয়ে বন্ধে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে সকল জেলা প্রশাসকের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশকে বাল্য বিয়ে মুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে।