বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে আরো ভালো ফলাফল করতে হবে —জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গতকাল ২৩শে জানুয়ারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার এবং ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হামিদ।
এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে গত ১০ই জানুয়ারী থেকে আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু করেছি। আগামী ১৭ই মার্চ তার জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতে বছরব্যাপী মুজিববর্ষ শুরু হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে আরো ভালোভালো লেখাপড়ার মাধ্যমে ভালো ফলাফল করে। আমি মনে করি প্রতিটি শিক্ষার্থীর বছরের শুরু থেকে স্কুলে উপস্থিত থাকা খুবই জরুরী। সেই বিষয়টি মনে রেখে এই স্কুলের প্রতিটি অভিভাবক তার সন্তানকে প্রতিদিন স্কুলে পাঠাবেন। যাতে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থী শতভাগ স্কুলে উপস্থিতির রেকর্ড থাকে। বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রের যে কোন পরীক্ষায় ছেলেদের থেকে মেয়েরা ভালো ফলাফল করছে এবং তাদের মেধাও ছেলেদের থেকে কোন অংশে কম নয়। কিন্তু আমি যে অফিসে চাকুরী করি সেখানে মেয়েদের থেকে ছেলেদের সংখ্যা অনেক বেশী। কর্মক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রে মেয়েদের আরো বেশী নিজেদের অংশগ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে রাজবাড়ীসহ দেশের একটি বড় সমস্যা বাল্য বিবাহ। যার দ্বারা একটি মেয়ের ভাবিষ্যতে বড় হওয়ার অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। মেয়ে সন্তানদের বাল্য বিবাহ না দিয়ে তার ভবিষ্যতে বড় হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি সচেতন সকলকে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আরো বেশী অগ্রগামী হয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মেয়েই এক অর্থে মা। সুতরাং ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি সকলকে নিজেদের শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সে জন্য অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যাতে প্রতিটি মায়ের কাছ থেকে দেশ একটি সুস্থ ও মেধাবী সন্তান পায়। এভাবে যদি আমার সকলে সুস্থ থাকতে পারি ও নিজেদের কর্মক্ষেত্রের পরিধি আরো বাড়াতে পারি তবেই সেদিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন দেশ জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। বক্তব্যের শেষে তিনি পায়রা উড়িয়ে ও মশাল প্রজ্বালনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!