॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে গতকাল ১৭ই জানুয়ারী তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ভোর থেকেই আশপাশের জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লীরা এসে এ জুম্মার নামাজে শরীক হন। জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোশারফ।
গতকাল বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় পর্বে জুম্মার বয়ানে বিশিষ্ট আলেমগণ বলেন, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে সঠিকভাবে মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না।
তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের দেশ-বিদেশের বুজুর্গ আলেমগণ ঈমান, আমল, আখলাক ও কালেমা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জুম্মার নামাজে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিশ্ব ইজতেমায় বার্ধক্যজনিত কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জের লক্ষ্মীপুর চাঁনপুর এলাকার হযরত আলীর ছেলে কাজী আলাউদ্দিন(৬৬)।
অপরদিকে বিশ্ব ইজতেমার আসার পথে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুই মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন ঃ নরসিংদী জেলার বেলাব থানার সুরুজ মিয়া(৬০) ও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানা এলাকার গোলজার (৪০)।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে মুসল্লীদের নিরাপত্তাদানে র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তা দিতে সতর্ক দেখা গেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও ৫স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। তবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিকের লোকবল বৃদ্ধি করে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই পুলিশ সদস্যরা ২৪ঘন্টা মুসল্লীদের নিরাপত্তাদানে নিয়োজিত রয়েছে।