॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সম্প্রতি গঠিত আহ্বায়ক কমিটির ১ম সাধারণ সভা গতকাল ১৭ই জানুয়ারী বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডঃ লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য-সচিব এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলালের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর অঞ্চলের সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাসুক-উর রহমান, অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, জেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, এডঃ কামরুল আলম, রেজাউল করিম সিকদার পিন্টু, গাজী আহসান হাবীব, আকমল হোসেন, সদস্য নঈম আনছারী, এডঃ আসাদুজ্জামান লাল, মোঃ চাঁদ আলী খান, গোলাম শওকত সিরাজ, মশিউল আজম চুন্নু, একেএম ইকবাল হোসেন, এডঃ মোঃ রকিবুল ইসলাম রুমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম সভায় উপস্থিত থাকলেও তিনি বক্তব্য দেননি।
এছাড়াও সভায় জেলা বিএনপির ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ ও সাবেক সহ-সভাপতি এডঃ আসলাম মিয়াসহ ৭/৮জন নেতা অনুপস্থিত সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা, সকল ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং আগামী ১৫দিনের মধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।
এছাড়াও আগামী ২০শে জানুয়ারী সন্ধ্যায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে উপজেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আহবায়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫/১১/২০১৯ তারিখে এডঃ মোঃ লিয়াকত আলীকে আহ্বায়ক এবং অধ্যক্ষ এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলালকে সদস্য সচিব করে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরআগে ২০১৭ সালের ১০ই জুলাই গঠিত রাজবাড়ী জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হারুন-অর রশিদ। তবে দলীয় কোন্দলের কারণে ওই কমিটির কোন সভা তারা করতে পারেননি।