॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির দুর্গম চরাঞ্চলের চররামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য বিদ্যালয়সমূহে পাঠদানসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, পাংশা উপজেলায় রেজিঃ প্রাপ্ত ৬২টি প্রাইমারী স্কুল ২০১৩ সালে সরকারীকরণ হয়। রেজিঃ প্রাপ্ত ৬২টি সরকারী হওয়ার মধ্য দিয়ে উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৮টিতে। নব্য সরকারী ৬২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৬টিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হলেও ৬টিতে এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। পুরাতন ৫৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এছাড়াও ২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এলপিআর-এ যাওয়ায় বর্তমানে নতুন-পুরাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১২জন প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
এদিকে হাবাসপুর ইউপির পদ্মা তীরের দুর্গম চরাঞ্চলের চররামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস শুকুর জানান, ২০১৩ সালে তাদের বিদ্যালয়টি সরকারী হয়েছে। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ৩বার পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়। দুর্গম চরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১শ’ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। শুরু থেকে ৪জন শিক্ষক থাকলেও বর্তমানে ৩জন সহকারী শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারী হওয়ার পর থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বছরখানেক আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ পায়ে গ্যাংগ্রিজ রোগে আক্রান্ত হলে তিনি ডেপুটেশনে চরঝিকড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী হন। বর্তমানে ৩জন শিক্ষকের মধ্যে সহকারী শিক্ষক মোঃ আব্দুস শুকুর অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ী হাবাসপুর ইউপির কাচারীপাড়া গ্রামে। অপর ২জন সহকারী শিক্ষক হলেন- মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ হামিদুল ইসলাম। মোঃ নজরুল ইসলামের বাড়ী হাবাসপুর ইউপির চর আফড়া এবং হামিদুল ইসলামের বাড়ী কালুখালীর গড়িয়ানা গ্রামে।
পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ বছির উদ্দিন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অত্র উপজেলায় মোট ১২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।