॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পূর্ব শক্রতার জেরে মুরগীর ফার্ম ও বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ৫০০ মুরগী ও একটি অস্টেলিয়া জাতের গরু পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম মৃধা (৪৫)সহ ৯জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
হাইকোর্টের ৪সপ্তাহের জামিন শেষে গতকাল ১৪ই জানুয়ারী সকালে চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধাসহ ৯জন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে রাজবাড়ীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আরাফাত হোসেন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
তারা হলো ঃ মদাপুর গ্রামের ফেলু মৃধার ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা(৪৫), সালাম মৃধা(৫০), বিল্লাল মৃধা(৩৫), মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনাইমুড়ি গ্রামের মৃত উকিলের ছেলে ইলিয়াস(৩০), মদাপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জাফর আলী(৪৫), খলিল শেখ(৪০), কাউছার(৩৫), হামজা(২৫) ও হায়দার(৩০)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২রা ডিসেম্বর রাতে মদাপুর গ্রামের কবির আহম্মেদের মুরগীর ফার্ম ও বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ফার্মের ৫শত মুরগী ও ১টি অস্টেলিয়া জাতের গাভী পুড়ে মারা যাওয়াসহ সাড়ে ৩লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় কবির আহম্মেদ বাদী হয়ে মদাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা ও তার দুই ভাইসহ ১০জনকে আসামী করে ৫ই ডিসেম্বর রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কালুখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি গত ৮ই ডিসেম্বর কালুখালী থানায় রেকর্ড হয়। কালুখালী থানার মামলা নং-২, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৪৪৭/৪৩৫/৪৩৬/৫০৬(২) পেনাল কোর্ড। মামলার অপর আসামী হচ্ছেন মদাপুর গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে আমজাদ শেখ(৪৫)।
এ মামলার আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। গত ১৩ই জানুয়ারী তাদের জামিনের সময় সীমা শেষ হয়। এ প্রেক্ষিতে গতকাল ১৪জানুয়ারী সকালে তারা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে ৯জনকেই কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পূর্বে চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই মামলায় আমাকে ১নং আসামী করে ১০জনের নামে মামলা দেয়া হয়। ঘটনার দিন আমি কালুখালীতে ছিলাম না। ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে হুকুমের আসামী করা হয়। কালুখালীর ইউএনওসহ সবাই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।
তিনি আরো বলেন, পঞ্চম কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে কাজ করায় প্রতিপক্ষ আমাকে কুপিয়ে জখমের মাধ্যমে প্রাণনাশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে চলেছে। এ সময় তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায় বিচার হলে অবশ্যই আমি এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাবো।’