॥হেলাল মাহমুদ॥ ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের রাজবাড়ী সদর উপজেলাধীন চরখানখানাপুর ছোট ব্রীজ এলাকায় গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই থ্রি-হুইলার মাহেন্দ্র গাড়ীর আরোহী মা-মেয়েসহ ৫জন নিহত হয়েছে। গতকাল ১২ই জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার আহ্লাদীপুর গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী রশিদা বেগম(৪০), তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন(১৫), গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আরশাদ শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ(৪৫), একই উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চরমাইটকোরা গ্রামের মৃত জয়নাল শেখের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৪৩) এবং ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার আব্দুর রফিকের ছেলে রিফাত হোসেন(২৩)।
এছাড়া দুর্ঘটনায় আরো ৩জন মাহেন্দ্র যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম(৫৫) ও অমিত হাসান (২২)কে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং সুমন শেখ (২৬)কে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ৩জনের বাড়ীই গোয়ালন্দ উপজেলায়।
আহ্লাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা গ্রীন লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-০৬৮৬) চরখানখানাপুর এলাকায় পৌঁছে বিপরীত দিকের দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী মাহেন্দ্রটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মাহেন্দ্রের ৫জন যাত্রী নিহত হন। বাসটিকে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে আটক করে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার সামনে রাখা হয়েছে। নিহতদের মরদেহও হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত মাহেন্দ্রটির যাত্রী কালীপদ শীল(৪০) বলেন, গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসটি বাসটি সজোরে আমাদের মাহেন্দ্রকে ধাক্কা দিলে মাহেন্দ্রটি উল্টে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এতে আমার সহযাত্রী নিহত হলেও আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি।
নিহত মোস্তফার শেখের ছেলে রাশেদুল শেখ(১৮) বলেন, দুপুরে আমার বাবা একটি ফোন পেয়ে বাড়ী থেকে খানখানাপুরে যাচ্ছিলেন। পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে বাবাকে মৃত অবস্থায় পাই।