॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ ‘ছিঁড়ে ফেল দৃঢ় হাতে চক্রান্তের জাল’-শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক রাজবাড়ীর রেলওয়ে ময়দানে আয়োজিত ২দিনব্যাপী বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা গণসঙ্গীত উৎসব সমাপ্ত হয়েছে।
গতকাল ২৩শে মে বিকেল ৫টায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা গণসঙ্গীত উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মানোয়ার হোসেন মোল্লা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম ও রাজবাড়ী সরকারী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফকীর আব্দুর রশিদ চিশ্তী প্রমুখ।
এ সময় বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডঃ দেবাহুতি চক্রবর্তী, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সিনিয়র সহ-সভাপতি এডঃ মোঃ শফিকুল আজম মামুন, জেলা জাসদের(ইনু) সাধারণ সম্পাদক মুনিরুল হক মুনির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা শাখার সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান লাবুসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশের যে কোন জেলার চেয়ে রাজবাড়ী জেলা সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। যার কারণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে রাজবাড়ীতে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা গণসঙ্গীত উৎসব উদযাপন হচ্ছে। এই গণসংগীত উৎসবের ন্যায় ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হবে।
অতিথিদের বক্তব্যের শেষে রাজবাড়ীর উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু শিল্পী সংস্থা, আপন শিল্পী গোষ্ঠী, আবোল তাবোল শিশু সংগঠন ও জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মাদারীপুরের গণশিল্পী সংস্থা, শরীয়তপুরের বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা ও ঢাকার ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২২শে মে বিকেলে বরেণ্য গণসঙ্গীত শিল্পী ও বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকীর আলমগীরের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। প্রথম দিনে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমী, পঞ্চভাস্কর, বৈচিত্র সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী পরিষদ, অরণী সাংস্কৃতিক সংসদ ও দোলন চাঁপা সঙ্গীতাঙ্গন, ফরিদপুরের খেলাঘর এবং ঢাকার সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন।