মায়ের সেবা-যত্ন করে পরকালে মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে হবে প্রসবকরণ ও বুকের দুধ খাওয়ানোতে ত্রিশ মাস কাটানো এ ধরনের কষ্টের বদলা দেওয়া সন্তানের পক্ষে অসম্ভব।
শুধু একটি বিশেষ দিনে পিতা-মাতাকে স্মরণ করে দায়িত্ব শেষ মনে করলে চলবে না। মাকে সম্মান জানাতে হবে আজীবন, সারাক্ষণ
কোনো ব্যক্তি মাকে পিঠে বহন করে হজ সম্পাদন করলেও তার বদলা পরিশোধ হবে না। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসূলের (সা.) দরবারে হাজির হয়ে অভিযোগ করল যে, তার মা বদমেজাজের। রাসূল (সা.) বললেন, নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহতভাবে যখন তিনি পেটে ধারণ করে ঘুরছেন তখন তো তিনি বদমেজাজের ছিলেন না। লোকটি বলল, হুজুর আমি সত্যই বলছি, তিনি খারাপ মেজাজের। হুজুর (সা.) বললেন, তোমার জন্য যখন তিনি রাতের পর রাত জাগ্রত থেকেছেন এবং তোমাকে দুধপান করিয়েছেন, তখন তিনি তো বদমেজাজের ছিলেন না। সেই ব্যক্তি বলল, আমি আমার মায়ের প্রতিদান দিয়ে ফেলেছি। রাসূল (সা.) বললেন, সত্যই কি তার প্রতিদান দিয়ে ফেলেছ? জবাবে লোকটি বলল, আমি আমার মাকে কাঁধে চড়িয়ে হজ করিয়েছি। তখন রাসূল (সা.) এবার সিদ্ধান্তকারী রায় দিয়ে বললেন, তুমি কি তার সে কষ্টের বদলা বা প্রতিদান দিতে পার যা তোমার ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বীকার করেছেন? অর্থাৎ মাকে পিঠে করে হজ সম্পাদন করালেও ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ে তার যে কষ্ট হয়েছে সেটার নূন্যতম বদলা হবে না।
হাদিস থেকে আরও জানা যায়, নামাজ চালিয়ে যাওয়া থেকে প্রসবকরণ ও বুকের দুধ খাওয়ানোতে ত্রিশ মাস কাটানো এ ধরনের কষ্টের বদলা দেওয়া সন্তানের পক্ষে অসম্ভব।
শুধু একটি বিশেষ দিনে পিতা-মাতাকে স্মরণ করে দায়িত্ব শেষ মনে করলে চলবে না। মাকে সম্মান জানাতে হবে আজীবন, সারাক্ষণ
কোনো ব্যক্তি মাকে পিঠে বহন করে হজ সম্পাদন করলেও তার বদলা পরিশোধ হবে না। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসূলের (সা.) দরবারে হাজির হয়ে অভিযোগ করল যে, তার মা বদমেজাজের। রাসূল (সা.) বললেন, নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহতভাবে যখন তিনি পেটে ধারণ করে ঘুরছেন তখন তো তিনি বদমেজাজের ছিলেন না। লোকটি বলল, হুজুর আমি সত্যই বলছি, তিনি খারাপ মেজাজের। হুজুর (সা.) বললেন, তোমার জন্য যখন তিনি রাতের পর রাত জাগ্রত থেকেছেন এবং তোমাকে দুধপান করিয়েছেন, তখন তিনি তো বদমেজাজের ছিলেন না। সেই ব্যক্তি বলল, আমি আমার মায়ের প্রতিদান দিয়ে ফেলেছি। রাসূল (সা.) বললেন, সত্যই কি তার প্রতিদান দিয়ে ফেলেছ? জবাবে লোকটি বলল, আমি আমার মাকে কাঁধে চড়িয়ে হজ করিয়েছি। তখন রাসূল (সা.) এবার সিদ্ধান্তকারী রায় দিয়ে বললেন, তুমি কি তার সে কষ্টের বদলা বা প্রতিদান দিতে পার যা তোমার ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বীকার করেছেন? অর্থাৎ মাকে পিঠে করে হজ সম্পাদন করালেও ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ে তার যে কষ্ট হয়েছে সেটার নূন্যতম বদলা হবে না।
হাদিস থেকে আরও জানা যায়, নামাজ চালিয়ে যাওয়া থেকেমায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত
মায়ের ডাকে সাড়া দেওয়া উত্তম। ইসলাম মা হিসেবে নারীকে যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে দুনিয়ার অপর কোনো মর্যাদার সঙ্গে তার তুলনা চলে না।
মায়ের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নবী করিম (সা.) যে ভূমিকা পালন করেছেন, তাও বিশ্বের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। তিনি ছিলেন কোমল হৃদয়ের দয়াপ্রবণ মানুষ। তিনি আপন মায়ের স্নেহ-মমতার সুযোগ না পেলেও দুধ-মা হালিমার স্নেহ-মমতা ভোলেননি।
নবী করিমের (সা.) অন্তরের মণিকোঠায় ছিল মা হালিমার স্থান। তাই ৪০ বছরের বেশি বয়সেও তাকে মা মা বলে ডাকতে শোনা যেত। নিজের গায়ের চাদরটি খুলে বিছিয়ে তার বসার স্থান করে দিতে দেখা যেত।
ইসলাম মাকে যথাযথ মর্যাদা ও মূল্যায়ন করেছে। তাই শুধু একটি বিশেষ দিনে পিতা-মাতাকে স্মরণ করে দায়িত্ব শেষ মনে করলে চলবে না। মাকে সম্মান জানাতে হবে আজীবন, সারাক্ষণ। এবারের মা দিবসে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।