রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

নেত্রকোনার হাওর এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ॥ হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন করবে সরকার

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭

॥মাতৃকন্ঠ ডেস্ক॥ নেত্রকোনার হাওর এলাকায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। এসময় তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক হাওরে একটি করে আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী কলেজ মাঠে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। হাওর রক্ষায় বেড়িবাঁধ করা হবে। নদী ও খাল খনন করা হবে, যাতে পানিধারণের ক্ষমতা বাড়ে। মাছের উৎপাদন বাড়ানো হবে। সবার জন্য গৃহের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। আর প্রত্যেক হাওরে একটি আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। বক্তব্য দেওয়ার আগে তিনি ওই এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী মাছ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়া ও বাজারজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলে শুধু ধান চাষ করলে চলবে না। এখানে হাঁস-মুরগি পালন, মাছের চাষ, সবজি উৎপাদন – এসব করতে হবে। কৃষকদের কৃষি উপকরণ পেতে সুবিধার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তার জন্য অল্প সময়ে ফসল উৎপাদনে গবেষণাগারে কাজ চলছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকায় নেত্রকোনাসহ হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে; ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরে বন্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেই, কেউ যেন না খেয়ে দিনাযাপন না করেন। কেউ যেন গৃহহারা না থাকেন। হতদরিদ্রদের ভিজিএফের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১০ টাকায় ৫০ লাখ মানুষের মাঝে চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে আবারও সরকার গঠনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। খালিয়াজুরীর পর তিনি বল্লভপুর গ্রামে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ ছাড়া কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল হক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!