মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গোয়ালন্দে নদীতে ট্রলার ডুবির ৪৮ ঘন্টা পর ২জনের মরদেহ উদ্ধার॥এখনো নিখোঁজ ২জন

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে পাথর বোঝাই ট্রলার ডুবে নিখোঁজের ৪৮ঘন্টা পর দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল ২২শে ডিসেম্বর দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলার কাউজানি এলাকায় পদ্মা নদী থেকে নৌ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
নিহতরা হলো ঃ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার সন্তোসশাহ গ্রামের আবু শেখের ছেলে আব্দুল শেখ(৩৫) ও একই গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ(৩৫)।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুর রহমান জানান, গত শুক্রবার দুপুরে পাবনার কাজির হাট থেকে পাথর বোঝাই করে রাজবাড়ীর গোদার বাজারের উদ্দেশ্যে আসার পথে পদ্মা নদীর কাউজানি এলাকায় মাঝখান থেকে ভেঙে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০জন শ্রমিকের মধ্যে ৬জন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৪জন নিখোঁজ হয়।
গত দুই দিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সফলতা না আসলে খুলনা থেকে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি দল আমাদের সাথে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। দুপুরে যৌথ অভিযানে আমরা ট্রলারের নিচে বালুর মধ্যে আটকে থাকা ২জনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে এখনো ২জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ২জন হলেন-সিরাজগঞ্জ জেলার আলতাফ প্রামানিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক(৪০) এবং আমজাদ শেখের ছেলে আলামিন শেখ(৪৩)। উদ্ধার কাজে গাফিলতির অভিযোগে নিখোঁজদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-বাহিনীর ডুবুরী দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের পাশাপাশি নিখোঁজদের স্বজনরাও বড় একটি ট্রলারের সহায়তায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শিকল দিয়ে বেঁধে পানির নীচ থেকে তোলার চেষ্টা করছে। তাদের অভিযোগ, উদ্ধার কাজে গাফিলতি চলছে। আরিচা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ এনে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করলে লাশের সন্ধান আগেই মিলতো।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে বেঁচে যাওয়া শাহানুর মিয়া(৪৫) বলেন, তাদের ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় তারা যে ৬ জন বাইরে ছিলেন তারা সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হন। ট্রলারের কেবিনের (ছই) মধ্যে যে ৪জন ছিলেন তারা বের হতে পারেননি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাসুদুল হক জানান, তাদের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজটির ক্ষমতার অনুপাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি অনেক ছোট। সে জন্য অসুবিধার কথা বিবেচনা করে সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!