সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান রাজবাড়ীর চক কেষ্টপুরের লতিফ খান

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার চক কেষ্টপুর গ্রামের মৃত কাবিল খানের ছেলে লতিফ খান(৭৪) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জীবন বাজী রেখে শত্রুদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। কিন্তু আজও তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি।
গতকাল ৪ঠা ডিসেম্বর তিনি জেলা প্রশাসকের সাপ্তাহিক গণশুনানীতে গিয়ে তার বেদনার কথা তুলে ধরেন এবং মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করার লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনে লতিফ খান উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ছাত্র ছিলেন। ওই অবস্থায়ই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার প্রশিক্ষক ছিলেন সেনা সদস্য আঃ হাকিম। রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরধুঞ্চি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে ৮নং সেক্টরের কমান্ডার মঞ্জুর অধীনে যুদ্ধকালীন কমান্ডার ডাঃ কামরুল হাসান লালীর সাথে রাজবাড়ী শহরের নিউ কলোনী, রেল কলোনী ও লোকোসেড এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী সশস্ত্র বিহারীদের সাথে জীবন বাজী রেখে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে বয়স বেড়ে যাওয়ায় তার শরীরে নানা রোগ বাসা বেধেছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তি করার লক্ষ্যে সকল যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সরকারের নিকট তার আবেদন মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাওয়ার ব্যবস্থা করলে তিনি মরে গেলেও শান্তি পাবেন।
তার আবেদন গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদনপত্র প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!