বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে ——–সিভিল সার্জন

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

॥চঞ্চল সরদার॥ বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ (১৮-২৪শে নভেম্বর) উপলক্ষে গতকাল ২৪শে নভেম্বর রাজবাড়ীতে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে হাসপাতাল সড়ক দিয়ে টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে দিয়ে পাবলিক হেলথ মোড় প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। এরপর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) মোঃ ফজলুল করিম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রজেক্টরেরর সহায়তায় এন্টিবায়োটিকের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আছমা আক্তার এবং সভা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক মোঃ নূরুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন বা গ্রহণ করা মোটেই ঠিক না। এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে কিনা সেটা ডাক্তারই বলে দিবে। অথচ আমরা নিজেরাই ডাক্তার হয়ে যাই, ইচ্ছামতো এন্টিবায়োটিক কিনে খাই-এটা ঠিক না। না জেনে-শুনে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে প্রতি বছর অনেক লোক মারা যাচ্ছে। সাধারণ অসুখ-বিসুখে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যদি ভাইরাসজনিত রোগ হয়ে না সারে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আমরা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারি। কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে, আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যা শরীরের জন্য উপকার করে। যদি আমরা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হই-সেই ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে ক্ষতি হবে না। ভাইরাসজনিত রোগ না হলেও যদি আমরা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করি তাহলে আমাদের শরীরে যে ভালো ব্যাকটেরিয়া আছে সেগুলোর ক্ষতি হবে। আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হবো। এ জন্য আমরা এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন থাকবো, অন্যদেরকেও সচেতনতা করবো।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) মোঃ ফজলুল করিম বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক খেলে একসময় তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তখন এন্টিবায়োটিক আর সংক্রামক রোগ ভালো করতে পারে না। তাই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন হওয়া দরকার।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সিডিসির এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কন্টেইনমেন্ট, ভাইরাল হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর আয়োজনে এই র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!