॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ পদ্মা নদীর চরাঞ্চলসহ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শীতকালীন সবজি চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে শীতকালীন আগাম সবজি চাষ বাড়ছে। বাজারে এই সবজির চাহিদাও অনেক। এ বছর আগাম শীতকালীন সবজি চাষের মাধ্যমে কৃষকরা বন্যা ও অতিবর্ষণে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মূলঘর, বসন্তপুর, শহীদওহাবপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় সারা বছরই নানা জাতের সবজির চাষ হয়। মৌসুমী চাষের পাশাপাশি একটু বেশী লাভের আশায় অনেকেই আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও চাষ করা হয়েছে ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, শিম, মুলা, শসা, বটবটিসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজির। ফলে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে এখন শুধু সবুজের সমারোহ। ভালো ফলন ও বাজারে দাম পাওয়ায় এ বছর আগাম সবজি চাষীরা লাভবান হয়েছে।
বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ী গ্রামের ফুলকপি চাষী খলিল উদ্দিন বলেন, দেড় বিঘা জমিতে কৃষি অফিসের প্রদশর্নী প্লটে সুদর্শন জাতের আগাম ফুলকপি চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ বার ফুলকপি উঠিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছি। প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। ২০ হাজার টাকা খরচ করে ইতিমধ্যে লক্ষাধিক টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি।
একই এলাকার সাজেদা বেগম নামে এক কৃষাণী বলেন, আমি মিষ্টি কুমড়া ও বেগুনের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বেগুন ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি ভালোই লাভ হবে।
নয়নসুখ গ্রামের কৃষক মালেক প্রামাণিক বলেন, এ বছর ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, শিম, বেগুন, মুলা, শসা ইত্যাদি শীতকালীন চাষ করেছে তারা বেশ লাভবান হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেখ জানান, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ ও সহায়তার মাধ্যমে কৃষকদের নিরাপদ সবজি চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রতি বছর প্রায় ২হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। তার মধ্যে এ বছর প্রায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।