॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে সাইকেল রফতানির এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।’
গতকাল ২২শে নভেম্বর কোলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যকার বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে মমতা এ বিষয়ে দু’টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাই সাইকেলের কারখানা স্থাপন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর সরকার এ ব্যাপারে জমি বরাদ্দ দেবে।
মমতা বলেন, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের কারখানা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থাপন করতে পারে। এতে পরিবহন খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পকারখানার ওপর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির সম্পকে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করেন।
তিনি দেশে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দোপাধ্যায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখার জন্য কোলকাতা সফরে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।