॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৪৮ জনের মাঝে ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি(শিল্প) ২০১৭ কার্ড’ বিতরণ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন গত ২০শে নভেম্বর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সিআইপি (শিল্প) ২০১৭ কার্ড ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানের এ কার্ড বিতরণ করেন।
বৃহৎ উৎপাদন, বৃহৎ সেবা, মাঝারি উৎপাদন, মাঝারি সেবা, ক্ষুদ্র উৎপাদন, ক্ষুদ্র সেবা, মাইক্রো এবং কুটির শিল্পখাতে মোট ৪২ জন এবং পদাধিকার বলে জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের ৬জন সহ মোট ৪৮জনকে সিআইপি (শিল্প) ২০১৭ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের লঞ্চিং প্যাডে অবস্থান করছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের বর্তমান ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বাংলাদেশ আগামীতে বহুদূর এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যের বাজার কিভাবে আরো সম্প্রসারণ করা যায় সেজন্য সরকার কাজ করছে। উন্নয়নের সকল অংশীজনদের সাথে নিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের এখনও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতকে আরো ওপরে নিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য শিল্প পণ্যকে রপ্তানিমুখী করে রপ্তানি বাণিজ্য আরো বৈচিত্র্যময় করতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ট্যাক্স-জিডিপি’র অনুপাত অনেক কম উল্লেখ করে এ অনুপাত বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের কর প্রদানে আরো আন্তরিক হবার আহ্বান জানান তিনি।
লবনের গুজব প্রসঙ্গে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, যারা বেশি দামে লবণ বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লবণের গুজবের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিমন্ত্রী বিদেশে সেকেন্ড হোম, থার্ড হোম না করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি’র সভাপতি সেলিমা আহমাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, সিআইপি(শিল্প) পরিচয়পত্রধারীদের অনুকূলে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ২০শে নভেম্বর থেকে আগামী এক বছরের জন্য বহাল থাকবে। এটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। কার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তাঁদের ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারী যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। ব্যবসার কাজে বিদেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য তাঁদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ‘লেটার অভ্ ইন্ট্রোডাকশন’ দেয়া হবে। তাঁদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকবে। কার্ডধারীরা বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন।