॥হেলাল মাহমুদ॥ প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ২২দিনের সরকারী নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে মেতে উঠেছে রাজবাড়ীর জেলেরা।
জেলার ৮৫কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পদ্মা নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা ইলিশ। হাট-বাজারগুলোতে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। পড়েছে বিক্রির হিড়িক।
গতকাল ৩রা নভেম্বর সকালে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা সদ্য ধরা বিভিন্ন আকারের ইলিশ বাঁশের ঝুড়িভর্তি করে নিয়ে আসছে। আনার পর পরই সেই মাছ দ্রুত নিলামে তোলা হচ্ছে। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে ডালায় করে বিক্রি করছে।
আবার পাইকাররা কিনে বরফ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা ছোট আকারের ইলিশ প্রতি কেজি ২৫০-৩৫০, মাঝারী আকারের গুলো ৪০০-৫০০, ১কেজি ওজনের ইলিশ ৬০০-৭৫০ টাকা এবং ১ কেজির উপরের ইলিশ ৮৫০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
দৌলতদিয়া বাজারে ইলিশ কিনতে আসা মনির হোসেন বলেন, কম দামে পাওয়ায় আমি ৭৫০ টাকা দিয়ে ছোট আকারের ৩কেজি (১০টি) তাজা ইলিশ কিনেছি।
একই বাজারের ইলিশ বিক্রেতা হাসান মোল্লা বলেন, জেলেদের আনা মাছ নিলাম থেকে কিনে বিক্রি করছি। মাছের আমদানী যেমন রয়েছে তেমনি প্রচুর ক্রেতাও আসছেন।
জেলে নাজিম উদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য এতদিন আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে ইলিশ ধরতে হয়েছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় প্রকাশ্যে ইলিশ ধরে এনে বিক্রি করছি। মাছ ধরাও পড়ছে প্রচুর।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাঃ মজিনুর রহমান বলেন, এখন অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে। এ জন্য হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর ইলিশ উঠছে। সপ্তাহখানের পর এতো মাছ আর পাওয়া যাবে না। সরকারী নিষেধাজ্ঞার যে উদ্দেশ্য ছিল তা মোটামুটি সফল হয়েছে। এখন ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়লেও নিষেধাজ্ঞার সময়ে প্রচুর মা ইলিশ নদীতে ডিম ছেড়েছে। নিষেধাজ্ঞার সুফল আমরা পাচ্ছি বলেই এখন এতো বেশী পরিমাণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে।