বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জেল হত্যা দিবস॥ইতিহাসের ভয়ংকর বাঁকবদল

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯

॥নাসির আহমেদ॥ কালের আবর্তনে বছর ঘুরে আবার এসেছে ৩রা নভেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালনকারী জাতীয় চার নেতাকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে নির্মমভাবে হত্যার এক ভয়াল স্মৃতি বিজড়িত দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করেছিল যে ঘাতক চক্র, সেই একই চক্রের হাতে নিহত হলেন বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান।
জেল হত্যা দিবস নামে পরিচিত ৩রা নভেম্বর ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয় যেখানে আমাদের জাতিসত্তা এবং মুক্তিযুদ্ধের মহত্তম অর্জন সবচেয়ে কঠিন সংকটের অগ্নি পরীক্ষায়। সেদিনের সেই নৃশংস ঘটনা তথা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শুধু নয়, জাতীয় ইতিহাসেরও এক ভয়ংকর বাঁক ফেরানো অধ্যায়। কেননা পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িক অগণতান্ত্রিক সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ তেইশ বছর জীবন-যৌবন বাজী রেখে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে, সেই স্বাধীন সার্বভৌম মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকেই পাল্টে দিয়েছিল ১৫ই আগস্ট আর ৩রা নভেম্বরের হত্যাকান্ড।
১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল তারা মূলতঃ একাত্তরের পরাজিত শক্তিকেই পুনরুজ্জীবিত করেছিল। যে কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশ বেতারের নাম, ফিরে এসেছিল মৃত পাকিস্তানের শ্লোগান ‘জিন্দাবাদ’ আর শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ভারত বিদ্বেষী সেই পাকিস্তানী রাজনীতির নতুন শ্লোগান। রেডিও পাকিস্তানের আদলে রেডিও বাংলাদেশ, জয় বাংলা হয়ে গেল জিন্দাবাদ। যে বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনা নিয়ে বাংলার মানুষ ভাষা আন্দোলন করলো, মুক্তিযুদ্ধ করলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে, সেই ঐক্য ভেঙ্গে দেওয়া হলো ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ এর ধোঁয়া তুলে।
১৫ই আগস্ট আর জেলহত্যা দিবসের প্রভাব যে কত সুদূর প্রসারী তা আজও বাংলাদেশের মানুষ মর্মে মর্মে টের পাচ্ছে। সচেতন মানুষ মাত্রই উপলব্ধি করবেন যে, ১৫ই আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর জেনারেল জিয়ার উত্থান আর বিশ শতকের বাঙালী মীর জাফর খন্দকার মোশতাকের রাষ্ট্রপতি বনে গিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির চেয়ার দখল ছিল সাময়িক ব্যাপার মাত্র। কেননা ৩রা নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছিল, মুক্তিযুদ্ধের অনুরাগী কোটি কোটি মানুষ আবার নতুন আশায় জেগে উঠেছিল। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খন্ড মিছিলও বেরিয়েছিল। খন্দকার মোশতাক যাদের নির্দেশনায় পুতুল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী সেই খুনী মেজররাও আঁতকে উঠেছিল।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ৩রা নভেম্বর দিনের বেলায় ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান এবং দিন শেষে গভীর রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একসূত্রে গাঁথা। কারণ, খুনী মেজররা এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকরাও জানতো কারাগারে বন্দী জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেন সুযোগ পেলেই। যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার এক সপ্তাহের মধ্যেই তার বিশ্বস্ত সহচর জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করা হয়। খন্দকার মোশতাক গং জাতীয় চার নেতার আনুগত্য ও সমর্থন চেয়েছিল। কিন্তু নীতির প্রশ্নে অটল এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীকে ক্ষমতা দখলকারী চক্র কিছুতেই টলাতে পারেনি। তারা বঙ্গবন্ধুর খুনী মোশতাকের ক্ষমতাকে বৈধতা দেননি, মেনেও নেননি। সে কারণেই অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী সামরিক শাসক চক্র গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর যেভাবে এই চার নেতা তার আদর্শ ও নির্দেশনা শিরোধার্য করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে কঠোর শ্রম, নিষ্ঠা আর দেশপ্রেমে বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করে ছিলেন, একইভাবে মীর জাফর চক্রও চিরবিদায় নিতে বাধ্য হতো যদি চার নেতা জীবিত থাকতেন। তাহলে বাংলাদেশের সর্বনাশ অনেক কম হতো। তারা বেঁচে থাকলে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখল, সংবিধানের পাতা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে দিয়ে পাকিস্তানের আদলে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদ পরিবর্তন-এর কোন কিছুই সম্ভব হতো না। যদি ৩রা নভেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে খালেদ মোশাররফ জাতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে একটি ভাষণ দিয়ে দেশবাসীকে বিষয়টি অবহিত করতেন, তাহলে ইতিহাস হতো অন্যরকম। লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সেদিন ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেন মীর জাফর মোশতাক সরকারকে উৎখাতের জন্য। কিন্তু কেন যে সেদিন তিনি তা করলেন না, দুর্ভাগ্য দেশবাসী তা জানার সুযোগ পেল না। জেনারেল খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে তাকে হত্যা করলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সামরিক প্রতিপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দ্রুত যে পট পরিবর্তন এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান, সে উত্থানকালে মুক্তবুদ্ধির মানুষ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছে- বঙ্গবন্ধুর পর তার বিশ্বস্ত সহকর্মী জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলতঃ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটিকে(বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) নেতৃত্ব শূন্য করে ফেলা হলো। খুনী চক্র এটা বুঝেছিল যে জাতীয় চার নেতার যদি একজনও বেঁচে থাকেন তাহলে যে কোন ঘটনা তারা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। যে কারণে কিলিং মিশন শেষ করে জেলগেট থেকে আবার ফিরে গিয়ে বেয়নেট চার্জ করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল। ১৯৭১ সালে এই জাতীয় চার নেতাই নানা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়েছিলেন দক্ষতার সঙ্গে। আর সে কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র তিন মাসের মধ্য জাতীয় চার নেতার বিদায় বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক ধারাকে এমন বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে, যার ভোগান্তি আজও ভুগছে বাংলাদেশ। উদার গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ-এ সাম্প্রদায়িকতা, সামরিক শাসন আর হত্যা-ক্যু, পাল্টা ক্যুর মধ্য দিয়ে বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের রক্তফসল এই রাষ্ট্রটিকে একাত্তরের ঘাতকদের চারণভূমিতে পরিণত করে। যে কারণে সৌভাগ্যক্রমে দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যাওয়া জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে একুশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে তার আপন পথে পরিচালনার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে।
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর পাকিস্তানী ভাবধারার বাংলাদেশকে আবার তার মূল পথে ফিরিয়ে আনার মতো দুঃসাধ্যপ্রায় কাজটি প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা যখন অনেকটা গুছিয়ে আনতে সক্ষম হলেন, ঠিক তখনই আর এক ষড়যন্ত্রের জাল বুনলো মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিরোধী চক্রটি। দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে এমন এক প্রহসনের নির্বাচন করল ২০০১ সালে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই অসার প্রমাণ করে দিল। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে বাংলাদেশ আবার চলে যায় স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে। একাত্তরের রাজাকার, আল-বদর নেতাদের গাড়ীতে উঠল জাতীয় পতাকা! একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধীরাও পবিত্র জাতীয় সংসদ আর মন্ত্রীসভাকে করলো কলংকিত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সেই দুঃস্বপ্নের মতো পাঁচটি বছর কোন দিন মুছে ফেলা সম্ভব হবে না।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে তার আপন পথে ফিরিয়ে আনার সুযোগ আবার সৃষ্টি হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে। গত এক দশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথে উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির যে স্বর্ণসোপানে আরোহন করেছে বাংলাদেশ, তা আজ বিশ্ববাসীর কাছেও পরম বিস্ময়। মর্যাদায়, মহিমায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বময় উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বরেণ্য নেতা। কিন্তু এই গৌরবের বাংলাদেশ যারা চায় না, তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে-বিদেশে তারা এখনো সক্রিয়। এখনো তারা আরও একটি একুশে আগস্ট সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই এবারের ৩রা নভেম্বর তথা জেল হত্যা দিবসের তাৎপর্য অন্য রকম।
এবারের জেল হত্যা দিবস আমাদের সতর্ক হওয়ার প্রেরণা যোগাবে। ১৯৭৫ সালে ইতিহাসের ভয়ংকর বাঁক বদলের মতো সর্বনাশের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। কারাগারের মতো নিñিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে যখন স্বয়ং রাষ্ট্রপতির টেলিফোন নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, তখন বুঝতে বাকি থাকে না যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের নৃশংসতার মাত্রা কী! খন্দকার মোশতাক আওয়ামী লীগে ছিলেন এ কথা ঠিক, কিন্তু ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে- যেমন ছিলেন জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়ে, সময়মতো বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। সংবিধান থেকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি তথা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ মুছে দিয়েছেন এবং পঁচাত্তরের খুনীদের বিচারের পথ আইন করে বন্ধ করেছিলেন।
৩রা নভেম্বর ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায় স্মরণ করার দিন। বাঙালীর প্রগতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনাশ করতে চায় যারা তাদের নতুন করে প্রজন্মের কাছে চিনিয়ে দেয়ার দিন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি যারা করতে চায় সেই তরুণ প্রজন্মকে জানিয়ে দিতে হবে-আদর্শের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল দর্শনের প্রতি কতখানি অবিচল আস্থা থাকা উচিত। নিজের জীবনও যে আদর্শের কাছে তুচ্ছ তার স্বাক্ষরতো রেখে গেছেন কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কাছে আত্মসমর্পন করেননি তারা, আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেননি খুনীদের মন্ত্রীসভায়। এখন রাজনীতিতে সেই নৈতিকতারই অভাব চরম পর্যায়ে। নতুন প্রজন্ম গর্ব করতে পারে- এমন ত্যাগী নেতা বঙ্গবন্ধু ও তার ঘনিষ্ঠ সহচররা আমাদের ইতিহাসে আছেন, তাদের কথা বারবার নানা আঙ্গিকে নবীন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তবেই এসব দিবস পালনের সার্থকতা -পিআইডি ফিচার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!