॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাল কাগজপত্র দাখিল করে জমির রেকর্ড সংশোধনের মামলা করার ঘটনায় রাজবাড়ী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের আদেশের প্রেক্ষিতে পাংশা উপজেলার মৈশালা গ্রামের ৮জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর ২নং আমলী আমলী আদালতে জালিয়াতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৩০শে এপ্রিল রাজবাড়ী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের আদেশে সেরেস্তা সহকারী খোন্দকার আব্দুল জব্বার কর্তৃক ২নং আমলী আদালতে দন্ড বিধির ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/১৯৩ ধারায় ৮জনের বিরুদ্ধে সি.আর-২১৬/২০১৭নং মামলা দায়ের হয়।
মামলায় পাংশা শহরের মৈশালা গ্রামের মৃত অজয় মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাজিব মুখোপাধ্যায় ও রাকিশ মুখোপাধ্যায়, মৃত রবীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে পরিমল মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়, সুশান্ত মুখোপাধ্যায়(৪৬) ও রতন মুখোপাধ্যায়, মৃত পঞ্চানন মুখোপাধ্যায়ের ছেলে শ্যামল মুখোপাধ্যায় এবং মৃত রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী আরতি রাণী মুখোপাধ্যায়কে আসামী করা হয়েছে।
আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামসুজ্জামান মামলার ৭জন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার এবং একমাত্র নারী আসামী আরতি রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমন জারীর আদেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, পাংশা উপজেলার মৈশালা মৌজার বি.এস ৬২২নং খতিয়ানের ১১৭ শতাংশ জমির রেকর্ড ভুল দাবী করে সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৬ই মে রাজবাড়ী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে একই গ্রামের মৃত মোবারক উল্লাহ মিয়ার পুত্র মোঃ আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে এলএসটি-১৯৮/১৪নং মামলা দায়ের করেন। আদালত উভয় পক্ষ থেকে মোট ৭জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
উক্ত এলএসটি মামলায় বাদী পক্ষের দাখিলকৃত এস.এ ৫৭৩নং খতিয়ানের জাবেদা জাল, যোগসাজশী ও অস্তিত্ব বিহীন প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক(যুগ্ম-জেলা জজ) গত মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার গত ৬ই এপ্রিল মামলাটি খারিজ করে দেওয়াসহ মামলার বাদী পক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলা দায়েরের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সেই আদেশের আলোকে ২নং আমলী আদালতে এই জালিয়াতি মামলাটি দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।