॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বগুড়ায় বাসের চাপায় রবিউল ইসলাম(৩৩) নামে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামের এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৯শে অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোটর সাইকেল আরোহী কর্পোরাল রবিউল ইসলামকে দ্রুত গতির একটি বাস পিছন থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। তিনি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’তে কর্মরত ছিলেন।
বগুড়া সেনানিবাসস্থ ডিজিএফআই’র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম গত ১৭ই অক্টোবর দুই দিনের ছুটিতে বাড়ী এসেছিলেন। ছুটি শেষে গত ১৯শে অক্টোবর ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলে বগুড়া সেনানিবাসের ডিজিএফআই কার্যালয়ে ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিছন থেকে দ্রুত গতির একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর তার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমইচ) নিয়ে রাখা হয়। বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ ঘাতক বাসটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
গতকাল ২০শে অক্টোবর দুপুরে রবিউল ইসলামের লাশ বগুড়া সিএমএইচ থেকে সামরিক হেলিকপ্টারযোগে রাজবাড়ীতে আনা হয়। দুপুর ২টা ৫মিনিটে লাশ বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজবাড়ী শহরের কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। যশোর সেনানিবাসের ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন ফাহিম আহম্মেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্যের একটি দল লাশ গ্রহণ করে সামরিক যানে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে বাদ আছর জানাযার নামাজ শেষে গার্ড অব অনার প্রদানসহ সামরিক মর্যাদায় ডাউকি ঈদগাঁহের পাশের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, কর্পোরাল রবিউল ইসলাম ডাউকি গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১০ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।