শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

কাটাখালীতে চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক পূজায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭
SAMSUNG CAMERA PICTURES

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালী চড়ক খোলা মাঠে গত ১৪ই এপ্রিল সন্ধ্যায় চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার দর্শনার্থী গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
জানাগেছে, ছোট ভাকলা ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে চৈত্র মাসের শেষ দিনে(পঞ্জিকা মতে) গত ২৪ বছর চলে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই চড়ক পূজা। পূজা উপলক্ষে খোলা মাঠে পুরাতন একটি চড়ক গাছে ধর্মীয় বিধি মোতাবেক এই পূজার আয়োজন করা হয়।
সন্যাসীরা উপবাস থেকে পুরোহিতদের কাছ থেকে পিঠে বড়শি এবং জিহ্বায় লোহার শিক গেঁথে চড়ক গাছ প্রদক্ষিণ করে। পরে চড়ক গাছের দুই দিকে দু’জন সন্যাসীকে পিঠে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘোরানো হয়।
চড়ক পূজা কবে কিভাবে শুরু হয়েছিল তার সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। তবে জনশ্র“তি রয়েছে, ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুর নামে এক রাজা এই পূজার প্রচলন করেন। রাজ পরিবারের লোকজন এই পূজা আরম্ভ করলেও চড়কপূজা কখনো রাজ-রাজাদের পূজা ছিল না। এটি ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সংস্কৃতি।
চড়ক পূজা দেখতে জেলার বাইরে থেকে ছুটে এসেছিল বিভিন্ন বয়সের মানুষ। অনেকের কাছে এই অনুষ্ঠান একবারেই নতুন।
আয়োজক কমিটির সদস্য বাদল বিশ্বাস জানান, ২৬বছর ধরে সাহসী যুবকদের পিঠে বড়শি দিয়ে শূন্যে ঘোরানো হয়। এবার রাজীব বিশ্বাস এবং দেবদাস বিশ্বাস এই দুই চড়ক সন্যাসী চড়ক গাছে শূন্যে ভাসে।
সব ধর্মের মানুষের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান পালন করছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির অপর সদস্য বাবলু বিশ্বাস। তিনি জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীদের এই অনুষ্ঠান প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। কালের আবর্তে অনেক স্থানে হারিয়ে গেছে গ্রাম-বাংলার চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান। সবার সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান আরো বড় করে করা হবে-এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজক ও দর্শকদের।
পূজা দেখতে আসা পঙ্কজ বিশ্বাস নামে এক দর্শনার্থী জানান, সত্যি অসাধারণ এক অনুভূতি। পিঠে বড়শি দিয়ে শূন্যে ভাসানো কঠিন এক সাধনার ব্যাপার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!