॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, সকল রোহিঙ্গার স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা মিয়ানমারের ওপর ক্রমাগত চাপ অব্যাহত রেখেছেন।
গতকাল ২৪শে আগস্ট সকালে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার অস্টমীর চরে নটারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সেনা প্রধানসহ তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। তাদের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এই লাখো মানুষের জন্য তার হৃদয় ও সীমান্ত খুলে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের পাশে সবসময় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, বন্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এক লাখ ডলার প্রদান করছে। কেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত কর্মসূচির আওতায় জেলার এক হাজার ২শত পরিবারের প্রায় ৫হাজার মানুষকে নগদ অর্থ এবং খাদ্য বহির্ভূত বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হবে।
চিলমারীর নটারকান্দি হাইস্কুল মাঠে ত্রাণ বিতরণের আগে চরাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ী ঘুরে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। এ সময় এই চরাঞ্চলের শতাধিক পরিবারকে নগদ ৪হাজার ৫শ’ টাকা, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং মহিলা ও কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এখানে ১০টি প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে নগদ সাড়ে ৫হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর জিয়া চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা, সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ লাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার সি-প্লেনে কুড়িগ্রাম চিলমারী বন্দরে ব্রহ্মপূত্র নদে অবতরণ করেন সকাল সাড়ে ৯টায়। এরপর তিনি স্পিডবোট যোগে নটারকান্দি চরে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সোয়া ১২টার সেখান থেকে আবার সি-প্লেনে ঢাকায় ফেরেন।