॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ মাদ্রাসাসহ সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ৮দফা দাবীতে গতকাল ৩০শে মার্চ দুপুরে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলা মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক জিনাত আরা’র হাতে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জেলা মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ উদ্দিন খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ কাউছার আহমেদ মোল্লা, সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ উদ্দিন খান জানান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মাদ্রাসায় কর্মরত জেনারেল(নন এ্যারাবিক) শিক্ষকদের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য জেনারেল শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করা। তাই বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন মনে করে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার মান্নোনয়ন ও আধুনিকায়নে বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন-এর ৮দফা দাবী বাস্তবায়ন করলে মাদ্রাসাসহ সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন হবে। দাবীগুলো হলো ঃ (১) মাদরাসাসহ সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। (২) জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে জারীকৃত ২০১২ সালের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে এবং ২০১৩ সারের জারীকৃত সংশোধিত পরিপত্র বাতিল করে মাদ্রাসার প্রশাসনিক পদে জেনারেল (নন এ্যারাবিক) শিক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করতে হবে। (৩) বদলীকরণ, ৫% ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও সম্মানজনক বাড়ী ভাড়া প্রদানসহ প্রতিটি আলিম/ফাজিল(পাস) মাদ্রাসায় বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ করতে হবে। (৪) আলিম/ফাজিল পর্যায়ে প্রতিটি অনুমোদিত বিষয়ে দ্বিতীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষা সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণী সভায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখতে হবে। (৫) জনবল কাঠামোয় গ্রন্থাগারিক, প্রদর্শক ও ল্যাব পিয়ন পদ অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। (৬) সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫ঃ২ অনুপাত প্রথা বাতিল করতে হবে। (৭) এমফিল/পিএইচডি ডিগ্রীধারী প্রভাষককে চাকুরীকাল ৪বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। (৮) উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ/স্নাতক(পাস) কলেজের মতো আলিম/ফাজিল (পাস) মাদ্রাসায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।