॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ত্যাগের মহিমা নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে গতকাল ১২ই আগস্ট সারাদেশসহ রাজবাড়ীতে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানীর মধ্যদিয়ে পালন করছেন তাদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব।
মহান আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মানুষ ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজবাড়ী রেলওয়ে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পৌরসভা মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। এবারও মহিলাদের ঈদের নামাজ আদায়ের পৃথক ব্যবস্থা(প্যান্ডেল) ছিল।
প্রধান ঈদের জামাতে ইমামতি এবং দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ও রাজবাড়ী জজ কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা সিরাজুল কবির। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও মোনাজাতে দেশে বিদ্যমান ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তির কামনা করা হয়।
রাজবাড়ীতে ঈদের প্রধান জামাতের কিছুক্ষণ পূর্বে একপশলা বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের প্যান্ডেলে ত্রিপল না থাকায় ঈদগাঁহ ময়দানের বড় একটা অংশ কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় মুসল্লীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
প্রধান জামাতের পাশাপাশি রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া খানকা শরীফ মসজিদ(বড় মসজিদ), সদর উপজেলা জামে মসজিদ, পুলিশ লাইনস ঈদগাঁহ ময়দান, রাজবাড়ী বাজারের দুধবাজার জামে মসজিদ এবং রেলওয়ে আজাদী ময়দানে জাকের পার্টির ঈদের জামাতসহ জেলার সকল এলাকার ঈদগাঁহ ময়দান ও মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ শেষে বাড়ী ফিরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে পশু কোরবানী দিতে। দুপুরে কোরবানীর গোশত দিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর সকলে আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে। অনেকে ঘুরতে বের হয়ে। ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল রিক্সার। এরপরই মোটর সাইকেল। ব্যক্তিগত গাড়ী-অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনেও অনেককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। রাজবাড়ী পৌর শিশু পার্ক ও গোদার বাজার ঘাটের পর্যটন স্পটে ছিল উল্লেখযোগ্য ভিড়। বিকালে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেও তার কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
ঈদ উপলক্ষে হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ যোহর মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাত এবং সুবিধামতো সময় অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।