॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবর মাসে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটা হবে তাঁর প্রথম নয়াদিল্লী সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে মোমেন গতকাল ৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় এ কথা জানান। খবর বাসস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে মোমেন বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি। এ মাসের শেষ দিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফরের পর আমরা তারিখ ও বিষয়সূচি ঠিক করবো।’
তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দু’দিনের সফরে আগামী ২০শে আগস্ট ঢাকা পৌঁছার কথা এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লী এই সফরের বিষয়ে ইতোমধ্যে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়সূচি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৫৪টি নদী বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ সকল দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যু সম্বলিত বিষয়সূচি প্রস্তুত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে (তিস্তা চুক্তি করতে) সম্মত হয়েছি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.মোমেন আরো বলেন, ঢাকা এই চুক্তির ব্যাপারে সবসময় আশাবাদী হলেও একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটা সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিলম্ব হওয়ার আশংকা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই শীর্ষ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কারণ নয়াদিল্লী এখন মনে করে শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়া উচিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শিগগিরই এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
তিনি আরো বলেন, ভারত, চীন ও জাপানসহ মিয়ানমারের বড় বড় মিত্ররা বাংলাদেশের প্রতি তাদের ইতিবাচক সমর্থন জানিয়েছে।
মোমেন বলেন, তিনি সম্প্রতি ব্যাংককে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকার বিশেষ করে তাদের সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে এবং সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাকে যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন।’
চীন ও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, তারা সবাই চান রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাক।
এরআগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন বলেছিলেন, তার কার্যালয় চলতি বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর আগেই কানাডা বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক বা দুইজন পলাতক স্বঘোষিত খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছরের মধ্যে এক বা দুইজন (পলাতক খুনি)কে ফিরিয়ে আনতে চাই।’