॥শিহাবুর রহমান॥ প্রথমবারের মত জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল ২৫শে মার্চ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন নাহার চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, এডঃ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ উজির আলী শেখ, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি, যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর জলিল, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মীর মাহফুজা খাতুন মলি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় উপস্থাপনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ শফিকুল হোসেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, এদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে জামাতে ইসলাম জ্বালাও পোড়াও করেছে। বর্হিবিশ্ব দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফোন করে তাকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে টলানো যায়নি। ২৫শে মার্চের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়া উচিত। আমরা অপেক্ষায় রইলাম বাংলাদেশের মাটিতে গণহত্যার বিচার হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিন বিশ্ব গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। আর স্বীকৃতি পেলে আমাদের উদ্দেশ্যে সফল হবে।
সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, স্বাধীনতার পূর্ব মুর্হুতে ২৫শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী বাহিনী বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করার জন্য নিরস্ত্র বাঙালী উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালায়। নতুন প্রজন্মকে সেই ইতিহাস জানাতে সংসদে গণহত্যা দিবস পাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে যারা মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনি সেই জামাতে ইসলাম জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছে। আর এর মদদ দিচ্ছে বিএনপি।
তিনি রাজবাড়ীর জামাতে ইসলামকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক কোন ঘটনা ঘটানো হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, এবারই প্রথম গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ২১শে ফেব্র“য়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তেমনি একদিন বিশ্ব গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
তিনি আরো বলেন, এখনো রাজাকার আলবদররা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা জাগ্রত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই রাজাকার আলবদরদের উৎখাত করে এদেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যার পর শহরের রেলগেটস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে নেতৃবৃন্দ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।