॥কবির হোসেন॥ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের উদ্যোগে গতকাল ২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় শহরের জনবহুল ৩টি পয়েন্টে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পুলিশ সুপার সালমা বেগম,পিপিএম-সেবা’র উপস্থিতিতে শহরের রেলগেটস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক চত্বর, বড়পুল ও পুলিশ লাইন সংলগ্ন মুরগীর ফার্ম এলাকায় জাতীয় গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ ৩টি পয়েন্টে সাধারণ জনতার সাথে মিলিত হয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আজাদ রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার মিয়া এবং টি.আই মৃদুল রঞ্জন দাসসহ কমিউনিটি পুলিশিং-এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন। মোমবাতি প্রজ্জ্বালন শেষে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পুলিশ সুপার সালমা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। আপনারা সকলেই জানেন ২৫শে মার্চের কাল রাতে পাকিস্তানী বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল। অপারেশন সার্চলাইটের নামে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বর্বর হামলা করেছিল। আমাদের বীর পুলিশ সদস্যরা তাদের শুধুমাত্র থ্রিনটথ্রি রাইফেল নিয়েই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। সেই বীর পুলিশ সদস্যদের আমরা স্মরণ করছি। সেই সাথে স্মরণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, সকল শহীদদের, সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের। এছাড়াও তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তব্যের শেষে ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।