বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ছোট ভাকলায় পারিবারিক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘরে গণহত্যা দিবস পালন

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৭

॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাশিমা গ্রামে গতকাল শনিবার দেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠতে দেশের প্রথম পারিবারিক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর-এ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘রাজবাড়ী জেলার মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস” লেখা বই।
গতকাল শনিবার দেশে প্রথম বারের মতো পালন করা হয় গণহত্যা দিবস। এ উপলক্ষে জাদুঘর চত্বরে দিন ব্যাপী আয়োজন করা নানা কর্মসূচি। বেলা এগারটায় কোরআন তেলোওয়াতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। জাতীয় সঙ্গীত ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও শেষে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা।
বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মোস্তফা গিয়াস, ছোট ভাকলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র রায়, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাব সভাপতি গণেশ চন্দ্র পাল প্রমুখ।
বক্তারা জাদুঘরে স্বাধীনতা বিরোধীতা কারীদের নামের তালিকার একটি গ্যালারী রাখার দাবী জানান।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ শাহজাহান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর, মোস্তাক আহমেদ, ফজলুল হক চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেন, বরাট ভাকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীল দত্ত, চৌধুরী মাহাবুব হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৈয়বুর রহমান, তেনাপচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজু শেখ ও চৌধুরী আব্দুল হামিদ একাডেমীর শিক্ষক আবু সাঈদ হাওলাদার প্রমুখ। শেষে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা আবৃত্তি এবং শিশু কিশোরদের জাদুঘর পরিদর্শন।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক রাশেদ রায়হান, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি হেলাল মাহমুদ ও গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের হাতে গোলাম মোস্তফা গিয়াসের লেখা রাজবাড়ী জেলার ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস’ লেখা বইটি তুলে দেওয়া হয়। এসময় বইয়ের লেখক গোলাম মোস্তফা গিয়াস, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি গণেশ পাল, সাধারণ সম্পাদক আজু শিকদার, দপ্তর সম্পাদক মেহেদুল হাসান আক্কাছ উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ জানান, মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্রগ্রাম বন্দরে নৌবাহিনীর সৈনিক ছিলাম। দেশ মাতৃকার টানে থাকতে না পেরে গ্রামের বাড়ি এসে বন্ধুদের সাথে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। দেশ স্বাধীনের পর আমাদের সবাই ভুলতে বসেছিল। অথচ গোলাম মোস্তফা এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় এখন নতুন প্রজন্মের কাছেও আমরা অনেক দিন বেঁচে থাকবো।
জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মোস্তফা গিয়াস বলেন, দেশের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ভাই যদি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!