॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘অনেক মন্ত্রী-এমপির স্বজনেরা বেপরোয়া ঃ চলছে দখল, টেন্ডারবাজি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সরকারের উন্নয়ন ম্লান হচ্ছে, মনোনয়ন ঝুঁকিতে ৭০ এমপি’ শিরোনামে গত ২২শে মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদের আংশিক বিষয়ের প্রেক্ষিতে পত্রিকার রিপোর্টার মেহেদী হাসান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের বিরুদ্ধে গতকাল ২৩শে মার্চ রাজবাড়ীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে দঃ বিঃ’র ৫০০/৫০১ ধারায় মানহানীর অভিযোগে নালিশী পিটিশন দায়ের করেছেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য এবং কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদনা সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মজনু।
নালিশী পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, গত ২২শে মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকের ‘অনেক মন্ত্রী-এমপির স্বজনেরা বেপরোয়া ঃ চলছে দখল, টেন্ডারবাজি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সরকারের উন্নয়ন ম্লান হচ্ছে, মনোনয়ন ঝুঁকিতে ৭০ এমপি’ শিরোনামে সংবাদের একাংশে ‘রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিমের নাম ব্যবহার করে এমপি’র স্ত্রী ও মজনু সম্পর্কে পরিকায় পরিবেশিন তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মর্মে অভিযোগ করা হয়। তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত আদালতে দায়েরকৃত নালিশী পিটিশনে বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত কোন আদেশ প্রদান করেননি।
এদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য এবং কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদনা সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মজনু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী এলাকায় এমপির পরিবারের এবং তার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতায় ঈষান্বিত হয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী গোষ্ঠী ইত্তেফাক পত্রিকায় রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি জননেতা মোঃ জিল্লুল হাকিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আমাকে জড়িতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার সাথে তার এবং এমপি’র স্ত্রী’র বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় অপরাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ মিথ্যা ও অপপ্রচারের ইন্ধন দিচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে এলাকাব জনগনকে সজাগ থাকার আহবান জানান।