॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে পানির অভাবে অনেক জায়গার চাষীরা পাট জাগ দিতে পারছে না।
জানা গেছে, এ বছর আবহওয়া অনুকূলে থাকায় এবং অতি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। এতে পাট চাষীরাও খুশি হলেও পাটের বাজার দর উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় তাদের মনে আনন্দ নেই। বর্তমানে পাট চাষীরা পাট কাটা, জাগ দেয়া ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
রামচন্দ্রপুর এলাকার পাট চাষী শহিদ মাতুব্বর বলেন, এ বছর ৪২ শতাংশের ১বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ হয়েছে ১০/১২ হাজার টাকা। সেখানে বিঘাপ্রতি ৬ থেকে ৭ মণ পাট উৎপাদন হতে পারে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ।
নয়াকান্দি গ্রামের পাট চাষী শাহজাহান মোল্লা বলেন, পাট আবাদ আগের মতো আর লাভজনক নেই। উৎপাদন খরচ বাড়লেও সেই তুলনায় দাম বাড়েনি। আগামীতে পাটের ব্যবহার না বাড়লে আমাদের পাট চাষ ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদের চরাঞ্চলেও এ বছর অনেক পাট চাষ হয়েছে। আগে সেখানকার চাষীরা ধইঞ্চ্যা চাষ করে তাদের জ্বালানীর চাহিদা মেটাতো।
সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার বিধান রায় জানান, ‘পাটের উৎপাদন খরচ ফলনের উপর নির্ভর করে। তবে মনে হচ্ছে এবার পাটের বাজার দরের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশী হবে। পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার হলে পাটের অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।’