॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন দলীয় কাউন্সিলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ নূরুল ইসলাম শেখ।
তিনি শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত একটি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার পিতা মরহুম আব্দুল মতিন শেখ এবং চাচা মরহুম ওলিমদ্দিন শেখ আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। বড় ভাই মোঃ নূরুজ্জামান শেখ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার। চাচাতো ভাই মফিজউদ্দিন শেখ দীর্ঘদিন শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আরেক চাচাতো ভাই মরহুম আসির উদ্দিন শেখ ওরফে সুনু মেম্বারও ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য এবং ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।
আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই মোঃ নূরুল ইসলাম শেখের পুরো পরিবার বংশানুক্রমে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দলের দুঃসময়েও তারা দৃঢ়ভাবে আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছেন। ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করে আসছেন। কোন লোভ-লালসা বা চাওয়া-পাওয়ার চিন্তা করেননি। দলের জন্য নিবেদিত থেকেছেন।
পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মোঃ নূরুল ইসলাম শেখও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। দলীয় যে কোন কর্মসূচীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও বিপদে-আপদে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং দল পরিচালনায় অর্থায়নসহ সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকেন।
এছাড়াও তিনি রাজবাড়ী জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য এবং জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজিঃ নং-২২৮৪) এর সদস্য। সামাজিক কর্মকান্ডের জন্যও তার সুখ্যাতি রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১পুত্র ও ২কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম একই ইউনিয়নের রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে মোঃ নূরুল ইসলাম শেখ বলেন, ইউনিয়নের সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমি সভাপতি নির্বাচিত হলে সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবো। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বেগবান করার জন্য আমি সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মী তথা ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকার সুযোগ চাই।