॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পাওনা ৬০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ শুরু করেছে জাতিসংঘ সদর দপ্তর।
গত ৮ই জুলাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের অনুরোধে জাতিসংঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল লিসা এম. বুটেনহেইম পাওনা পরিশোধের অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০মিলিয়ন ডলার হস্তান্তর করেন। বাকী ৩০ মিলিয়ন ডলার শীঘ্রই পরিশোধ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে আন্তরিকতাপূর্ণ দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে বকেয়া প্রদানের প্রতিশ্রুতি ছাড়াও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সফল অংশগ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল।
একই দিনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারী অ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লয়টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে বৈঠক করেন।
জাতিসংঘের মিলিটারী অ্যাডভাইজর বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা ও ফলপ্রসূ অবদানের উল্লেখসহ বিভিন্ন মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, কর্তব্যপরায়নতা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধের উচ্চ প্রশংসা করেন।
এ সময় একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনের ফোর্স জেনারেশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবে নিয়োগপত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের হাতে তুলে দেন জেনারেল লয়টে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩১বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এ গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশকে নির্বাচন করা হলো।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ থেকে একজন ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের প্রস্তাব দিলে জেনারেল লয়টে তা স্বাগত জানান এবং দ্রুততম সময়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন। এছাড়া সেনাপ্রধান বাংলাদেশ থেকে আরো ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, স্পেশাল ফোর্স এর সদস্য বাড়ানোর পাশাপাশি দ্রুত মোতায়েনযোগ্য ব্যাটালিয়ন নিয়োগেরও প্রস্তাব দেন।
জাতিসংঘের মিলিটারী অ্যাডভাইজর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কার্লোস হামবার্টো লয়টে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উদারতা ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরেন জেনারেল আজিজ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত ৯ই জুলাই জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এর সাথে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান বৈঠক করেন। বৈঠককালে সেনাবাহিনী প্রধান ফরাসি ভাষাভাষী দেশগুলোতে বাংলাদেশের সেনা মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়া সেনাপ্রধান বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়াকে অবহিত করেন।