॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত এবং ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন মোল্লার উপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল ১০ই জুলাই বিকালে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যৌথ আয়োজনে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনের প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডঃ গনেশ নারায়ণ চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ পারিজাত কুমার পাল, সহ-সভাপতি অনিল কুমার বিশ^াস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রফেসর ফকরুজ্জামান মুকুট, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ উজির আলী শেখ, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি, জেলা জাসদের(ইনু) সাধারণ সম্পাদক মুনিরুল হক মুনির, জেলা জাসদের(আম্বিয়া) আহ্বায়ক স্বপন কুমার দাস, পূজা উদযাপন পরিষদের রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি গণেশ মিত্র, রাজবাড়ী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার সাহা, বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি রামগোপাল চট্টোপাধ্যায়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার সভাপতি নির্মল চক্রবর্তী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার সরকার ও রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত ও আলাউদ্দিন মোল্লার উপর হামলার ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হামলার ৩দিন অতিবাহিত হতে চললেও এখনো ঘটনার সাথে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাদেরকে ধরার ব্যাপারে পুলিশের কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আগামী ৩দিনের মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে রবিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ই জুলাই সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭টার দিকে গোয়ালন্দে দলীয় কাউন্সিল থেকে ফেরার পথে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলাধীন জমিদার ব্রীজ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত ও তার সঙ্গে থাকা ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত বাদী হয়ে পরদিন ৯ই জুলাই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন।