॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ ফরিদপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম রুশেমা ইমাম ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত ৯ই জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে রাত ১০টার দিকে ফরিদপুরের হাবেলী গোপালপুর এলাকার নিজ বাড়ীতে বুকে ব্যথা শুরু হলে পরিবারের সদস্যগণ তাকে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। গতকাল ১০ই জুলাই বাদ আসর ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সের মাঠে জানাযার নামাজ শেষে তার মরদেহ কমলাপুরের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন,এমপি এবং ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রুশেমা ইমামের স্বামী মরহুম ইমাম উদ্দিন আহমেদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি একজন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ২০০৬ সালে ফরিদপুরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কিছুদিন পর মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারী দলের সদস্য রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাজেট আলোচনায় সংসদ সদস্য রুশেমা বেগমের দেয়া বক্তব্য সংগ্রহ করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর হবে এবং এটা বেইমান মুনাফেকদের জন্য একটি উচিত শিক্ষা হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, রুশেমা বেগম একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষ ছিলেন। মানুষের কল্যাণে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় মেয়েদের শিক্ষা-দিক্ষা গ্রহণ কঠিন বিষয় ছিল, বৈরি পরিবেশে তিনি শিক্ষা লাভ করে ফরিদপুরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করেছেন।’