॥মীর আফরোজ জামান॥ বাংলাদেশে বাস করে যারা বাসে, যানবাহনে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের মাংস পুড়িয়ে কাবাব বানিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ গত নির্বাচনে তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে।
১৯৭৫ পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অস্তিত্ব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল। বেগম খালেদা জিয়ার সময় যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গীবাদ তৈরীর মাধ্যমে আবারও একটি নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের বীজ বুনেছিল। সেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ নস্যাৎ করে দেয়। এ জন্য গত ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক জোট বিএনপি-জামায়াতকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীনের এখন প্রায় ৪৯ বছর অতিবাহিত হচ্ছে, এখনও পাকিস্তানপন্থীরা এই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এখন বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে আর তার ছেলে তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বিএনপির রাজনীতি পরিচালনা করছে এবং এই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেশ এখন জেগে উঠেছে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে। অর্থনৈতিকভাবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশের গৌরব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোরভাবে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার পিতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন- এই দেশে একদিন সোনা ফলবে, সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আজ বাংলাদেশে সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিশ্বের একজন ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড়, তিনি পাকিস্তানের একটি জনসভায় বলেছিলেন ‘একটি দেশকে কীভাবে উন্নত করতে হয় তোমরা যদি দেখতে চাও তাহলে বাংলাদেশে গিয়ে দেখে আসো-শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখে আসো।’ এখন বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে নিয়ে শ্লোগান দেয় ‘বাঘে ধরলেও ছাড় পাওয়া যায় কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে রক্ষা নেই।’ মায়ানমার সার্কভুক্ত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে এখনও বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের রাখাইন রাজ্য থেকে বসবাসরত মুসলিমদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করেছে। ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ শিশু নারীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনী গুতেরেসসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র প্রধান সরেজমিনে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দেখে গেছেন। যে কারণে আজ শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের নেত্রী। শেখ হাসিনা মানবতার শিক্ষা দিয়ে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যে জন্য আজ পৃথিবীতে মানবতার জনক শেখ হাসিনা। পৃথিবীর সমস্ত দেশ এখন শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গদেরকে মায়ানমারের ফেরত নিতে হবে। এ বিষয়ে মায়ানমারের প্রতি জাতিসংঘের কঠোর হুশিয়ারী রয়েছে। আর এ জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের শ্লোগান- ‘শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। শেখ হাসিনার সরকার সারা জীবন দরকার। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয় শেখ হাসিনা।