বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গোয়ালন্দে পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি॥ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে আরো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পদ্মার ভাঙ্গনে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নে কৃষি ফসলী জমি বিলীন হচ্ছে।
ভারি বৃষ্টি ও পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে ভাঙ্গনের মাত্রা বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন অতিমাত্রায় বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করছে। গত এক মাসে অন্তত ৫০ একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। শতাধিক পরিবার ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী।
সরেজমিন ছোট ভাকলা ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী চর বরাট অন্তারমোড় এলাকায় দেখা যায়, পদ্মা তীরবর্তী আবাদী কৃষি ফসলি জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। ভাঙ্গনের কারণে নদীর পাড় নদী থেকে খাড়া হয়ে গেছে। আবাদী জমির ধান, পাট, সবজি খেত নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এছাড়া অন্তার মোড় এলাকার পাকা কার্পেটিংয়ের বাঁধ বা রাস্তার মাথাও ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে সেখানে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড পাথরের ব্লক ফেলছে।
চর বরাট এলাকার নুরু খার ছেলে জসিম খা(৩৫) বলেন, নিজেদের বাড়ির কাছে দুই বিঘার একটু বেশি জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম। এক বিঘার মতো জমির ধান কাটতে পারলেও বাকি আরো এক বিঘা কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় দুই-তিন সপ্তাহ ধরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও পদ্মায় পানি বাড়তে থাকলে নদীর পাড় ভাঙ্গতে শুরু করে। এছাড়া ইতিমধ্যে ভাঙ্গন আতঙ্কে বাড়ি ঘরও অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি।
স্থানীয় সিরাজ খান বলেন, ঘন ঘন ঝড় বৃষ্টির কারণে নদী উত্তাল হয়ে উঠে। এ সময় নদীর ঢেউ পারে গিয়ে আঘাত করে। আর তখনই নদীর পাড় ভাঙ্গতে থাকে। এ ভাবেই গত এক মাসে অনেকের অনেক কৃষি ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গন রোধের দাবী জানিয়ে আসছি। এখনই ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বর্ষা মৌসুমে আরো অনেক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ইউনিয়নের চর বরাট, ছোট জলো, গোড়া মারা ও কাওয়ালজানির আংশিক মৌজায় ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। ওই চারটি মৌজার পদ্মা তীরবর্তী হওয়ায় অন্তত ৫০ একার বা ১৫০ বিঘা আবাদি কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সাথে বাতাসের ঢেউয়ে পাড়ে আঘাত হানায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এখনই ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে আরো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার বলেন, ভাঙ্গন রোধে অন্তার মোড় রাস্তার মাথায় আমরা ব্লক ফেলছি। ২০১২ সালে শহর রক্ষা বাধের জন্য তৈরী করা অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে ১৩হাজার ব্লক ফেলা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!