॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির আয়োজনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদের সহায়তায় গতকাল ১৯শে জুন বেলা ১১টায় কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুছাইন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের পরিচালক ডাঃ মোঃ আক্তারুজ্জামান।
জাতীয় পুষ্টির কর্মপরিকল্পনার উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের সহকারী পরিচালক ডাঃ নাজমুস সালেহীন, কার্যপরিধি, বাস্তবায়নের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, বর্তমান পুষ্টিচিত্র ও ভবিষ্যতে করণীয় বিষয়ের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ ফজলে রাব্বী এবং জেলা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির পরিচালনা সহায়িকার উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সহকারী পরিচালব ডাঃ মোঃ আকতার ইমাম। অন্যান্যের মধ্যে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় উপস্থাপনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারেমা মাঞ্জুরা।
এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, জেলা সমাজসেবা অধিপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস, জেলা তথ্য অফিসার তাহমিনা আক্তার, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমীন করিমী, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) শামসুন্নাহার চৌধুরী, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ কাজী শফিউল আজম শুভ, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা ডাঃ মঞ্জুরুল হক এবং স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার প্রধান অতিথি, সভাপতিসহ অন্যান্য বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ ২০১৬ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরুতে ১৭টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কার্যক্রম শুরু করা হলেও বর্তমানে ২২টি মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে। যার মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা ও তত্বাবধানে সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। যেহেতু পুষ্টি যেকোন দেশের উন্নয়নের মূল হাতিয়ার সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তার আমলে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে সকলের জন্য পুষ্টির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর সেই সকলের জন্য পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে এই মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সুতরাং এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হলে দেশ থেকে ভেজাল খাদ্য দূর করা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, ছোঠ ছোট বাচ্চাদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতার শিক্ষা দান, গণমাধ্যম কর্মীসহ দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি, গর্ভবতী মা’র পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে সেচতন করা, ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো ও বিভিন্ন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে সকলকে জানানো প্রয়োজন। এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে পারলেই বতর্মান সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নসহ বঙ্গবন্ধু পুষ্টি সমৃদ্ধ যে বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।