॥ফরিদপুর প্রতিনিধি॥ র্যাবের অভিযানে পৃথক অভিযানে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের মোট ১১জন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৮ই জুন রাতে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৭টি মোবাইল ফোন ও ১৬টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ ভাঙ্গা উপজেলার জঙ্গলপাশা গ্রামের টুকু মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া(৩৫) এবং কররা গ্রামের মৃত মালেক মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা(৩০), ছালাম শেখের ছেলে নাঈম শেখ(১৬), মোবারক মোল্লার ছেলে তামজিদ মোল্লা(১৯), আতিয়ার আকন্দের ছেলে পারভেজ আকন্দ(১৬) ও রতন খানের ছেলে সুজন খান(১৯)। জব্দকৃত মোবাইল ফোন ও সিম কার্ডসহ তাদেরকে ভাঙ্গা থানায় সোপর্দ পূর্বক র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে মোবাইল সিম কার্ড বিক্রেতাদের কাছ থেকে ভুয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার পর উক্ত সিম কার্ড ব্যবহার করে বিকাশের ডিএসআরদের (একাউন্ট খোলার জন্য নিয়োগকৃত এজেন্ট) মাধ্যমে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খুলে তাদের কাছ থেকে বিকাশ একাউন্টধারীদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে বিকাশের হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কৌশলে বিকাশ একাউন্টের পিন কোড জেনে নিয়ে স্মার্ট ফোনে বিকাশ অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল।
এরআগে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল গত ৬ই জুন রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাধীন তারাইল(কর্নিকান্দা) গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৫জন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১১টি মোবাইল ফোন ও ৯টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ঃ তারাইল(কর্নিকান্দা) গ্রামের মৃত সরোয়ার হাওলাদারের ছেলে হান্নান হাওলাদার(৩৭), জাকির হাওলাদারের ছেলে মানিক হাওলাদার(২২), জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে সাফায়েত মোল্লা ওরফে সুজন(২২), আবুল কাশেমের ছেলে রাশেদ আহম্মেদ(১৯) এবং শওকত আলী মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া(১৯)। জব্দকৃত মোবাইল ফোন ও সিম কার্ডসহ তাদেরকে ভাঙ্গা থানায় সোপর্দ পূর্বক র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য, সারা দেশের বিকাশ প্রতারণার ব্যবসাই মূলত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা কেন্দ্রীক। বিকাশ প্রতারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে র্যাবের অভিযানে ভাঙ্গা উপজেলা থেকে বেশ কয়েক দফায় বিপুল সংখ্যক প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। র্যাবের তৎপরতা ও ধর-পাকড় স্বত্ত্বেও ভাঙ্গা উপজেলা কেন্দ্রীক এই বিকাশ প্রতারক চক্রকে থামানো যাচ্ছে না।