শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীতে পৌর কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ ৮দফা দাবীতে কর্মবিরতি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০১৭

॥শিহাবুর রহমান॥ অসম্মানজনক মাসিক সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও প্রস্তাবিত ৮দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ী পৌরসভায়ও গতকাল ৮ই মার্চ থেকে কর্মবিরতি পালন করছে পৌর কাউন্সিলররা। বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশন জেলা শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচীর পালন শুরু হয়।
বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশন রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়ক এএফএম শাহজাহান, সদস্য সচিব নির্মল কৃষ্ণ চক্রবর্তী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কাজী মাহাতাব উদ্দিন তৌহিদ জানান, বর্তমানে পৌর কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী ভাতা ৬হাজার টাকা থেকে ৮হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। সেখানে মেয়রগণের সম্মানী ভাতা ৩৮হাজার টাকা। সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের মাসিক ভাতা ৮৫হাজার টাকা। কাউন্সিলরদের ৩৫হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণের মাসিক সম্মানী ভাতা ৫৪হাজার টাকা ও সদস্যদের ৩৫হাজার টাকা। আর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাসিক সম্মানী ভাতা ৪০হাজার টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ২৭হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। অথচ জেলা ও উপজেলার পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের ধার্য্যকৃত সম্মানী ভাতার টাকা অমানবিক ও অযৌক্তিক। এছাড়াও পৌরসভায় রয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলরদের বৈষম্যমূলক আইন। আমাদের দাবি আদায় না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
৮দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে(১) বঙ্গবন্ধু ঘোষিত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে পৌরসভার বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করে একটি গণমুখী, শক্তিশালী ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভাকে গড়ে তুলতে কাউন্সিলরদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে।
(২) ‘ক’ শ্রেণীর পৌরসভার কাউন্সিলদের সর্বনিম্ন সম্মানী মাসিক ভাতা ২৫হাজার টাকা, ‘খ’ শ্রেণীর পৌরসভার কাউন্সিলরদের সম্মানী মাসিক ভাতা ২০হাজার টাকা এবং ‘গ’ শ্রেণীর পৌরসভার কাউন্সিলরদের সম্মানী মাসিক ভাতা ১৫হাজার টাকা নির্ধারণ করা।
(৩) পৌরসভার টেন্ডার কমিটির সভাপতি কাউন্সিলরদের নিয়োগ দিতে হবে। কারণ ইতিপূর্বে কাউন্সিলররা সভাপতি ছিল। নিজস্ব এবং দেশ-বিদেশী টাকাসহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সন্তোষজনক কাজ হয়েছে মর্মে প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।
(৪) পৌরসভার শ্রেণী অনুসারে পৌর কাউন্সিলরদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনিশ্চিত করতে হবে। (১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটদের নিচে নয়)। ইতিমধ্যে থানার ওসিদেরকে ১ম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার করা হয়েছে।
(৫) পৌর এলাকার দরিদ্র জনগণের সাহায্য দেয়ার জন্য প্রতিমাসে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীভুক্ত পৌরসভাগুলোকে ৫০০০/৪০০০/ ও ৩০০০ টাকা কাউন্সিলদেরকে বরাদ্দ দিতে হবে।
(৬) পৌরসভার জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা সরকারের রাজস্ব তহবিল হতে প্রদান করতে হবে।
(৭) পৌর পরিষদের সাধারণ সভায় মাসিক আয় ব্যয়ে সকল দেশী বিদেশী প্রকল্পের অর্থ এবং বিশেষ বরাদ্দের হিসাব অনুমোদন ও রেজুলেশন কপি ৭দিনের মধ্যে প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
(৮) জনগণের ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!