বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীতে ধানের দাম বৃদ্ধির দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর জেলা বিএনপির স্মারকলিপি পেশ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ মে, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীতে ধানের দাম বৃদ্ধির দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছে জেলা বিএনপির খালেক গ্রুপ। গতকাল ২১শে মে সকালে স্মারক লিপিটি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হোসেনের হাতে তুলে দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক।
স্মারক লিপিতে বলা হয়, বোরো ধানের দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উৎপাদিত ধানের মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেকগুণ কম হওয়ায় হাহাকার করছে কৃষকরা। উৎপাদন খরচ থেকে তিনশো টাকা কমে প্রতি মন ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে দুই হাজার টাকা। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় টাঙ্গাইল, জয়পুরহাট ও নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা পাকা ধানক্ষেতে আগুন দিচ্ছে, পাকা ধানে মই দিচ্ছে, সড়কে ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছে। সরকার প্রতি মন ধান কেনার জন্য ১হাজার ৪০টাকা মূল্য প্রদান করলেও কৃষকেরা হাতে পাচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০টাকা। বাকী টাকা যাচ্ছে সরকারের আনুকূল্য পাওয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। এ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ধানের দাম কমার জন্য উদ্ভুত সংকটে সরকার উদাসীন। এ বিষয়ে তাদের কোন দায় নেই বলে কৃষিমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণেই কৃষকরা উৎপাদিত ধানে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ কৃষকরাই বাংলাদেশের আত্মা ও দেশের প্রাণ। কৃষকদের রক্ষা করতে না পারলে দেশে দুর্যোগ নেমে আসবে। তারা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে দেশে দূর্ভিক্ষ নেমে আসবে। ১৭ কোটি মানুষ না খেয়ে নেমে মরবে। আমরা মধ্যস্থতাকারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার জন্য সরকারকে আপনার মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি।
পাশাপাশি জাতীয় মুজুরী কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয় মজুরীসহ ৯দফা দাবীতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়াত্ব বিভিন্ন পাটকলে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। দেশের ২৬টি পাটকলে একযোগে লাগাতার ধর্মঘট শুরু হলেও সরকার তাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিচ্ছে না। ১০ থেকে ১৫ সপ্তাহ মুজুরী না পেয়ে শ্রমিকরা অর্ধাহার ও অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ২০১৫ সালের মুজুরী কমিশন রোয়েদাদ এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। অথচ রমজান মাস শুরু হয়েছে। এ মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য কেনার সামর্থ তাদের নেই। কর্মচারীদের চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থের প্রতি সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং তাদের ওপর শোষণের মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। শ্রমিকরা পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন করছে বিনিময়ে তারা মুজুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে বৈষম্য ও বঞ্চনা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা পাটকল শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবীগুলো সরকারের মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
স্মারক লিপি প্রদান শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবীতে বক্তব্য দেন এডঃ এম.এ খালেক।
এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডঃ মোঃ কামরুল আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম কাশেম, জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শিকদার পিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.খালেক পাভেলসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!