বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গাম্বিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপন করতে চায়

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে(ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস) নিয়ে যেতে গাম্বিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মামাদো তাঙ্গারা।
গতকাল ১৭ই মে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ড. মামাদো তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মানবিক ইস্যু। তার দেশ এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর দেশের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন।
তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈদেশিক অফিস প্রটোকল স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে চাই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ায় বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসার এবং গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠায় তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি তাঁর ছোট বোন প্রাণে বেচেঁ যান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ফিরে আসার পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখন আমরা দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জিডিপি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন এবং দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে।’
কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনীতির আরও উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রী ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চলমান উদ্যোগের প্রসঙ্গও এ সময় টেনে আনেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধামন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!