॥শিহাবুর রহমান॥ বিশ্ব রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে গতকাল ৮ই মে বিকেলে রাজবাড়ীতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজবাড়ী ইউনিটির উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষে শহরের ১নং বেড়াডাঙ্গা সংলগ্ন সংস্থার জেলা কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের করা হয়।
র্যালীটি রাজবাড়ী শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজবাড়ী ইউনিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোঃ রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজবাড়ী ইউনিটির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন উদ্দিন বতু বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজবাড়ী ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকরাম হোসেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর তীব্রতা আমরা হয়তো টের পাইনি। কিন্তু ইন্ডিয়ার উড়িষ্যা টের পেয়েছে। পুরীনগরী টের পেয়েছে। টের পেয়েছে ভুবেনশ^র বিমানবন্দর। এরা টের পেয়েছে এর আঘাতটা কত মারাত্মক ছিল। আপনারা জানেন রাজবাড়ী একটি দূর্যোগপূর্ণ জেলা এবং বিগত দুই বছরই কিন্তু আমরা নদী ভাঙন ও বন্যায় আক্রান্ত হয়েছি। এখানে সরকারীভাবে পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্টও সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে দুস্থ লোকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই ঘূর্ণি ঝড়ে আমাদের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। শুধুমাত্র আমাদের সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নে দুটো গ্রামে ২০টি মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক কাচা ঘর-বাড়ী। আমরা কিন্তু পরের দিনই সরকারের পক্ষ থেকে ২০ বান্ডিল ঢেউটিন ও প্রত্যেক নগদ ৩হাজার টাকা করে বিতরণ করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে এই ঝড়ে আমাদের কাছে বরাদ্দ আসছে নগদ ৫লক্ষ টাকা। চাউল আসছে ১০০ মেট্রিক টন। আমাদের কাছে সেগুলো মজুদ আছে। যদিও কাল বৈশাখীতে আবার আঘাত আনার সম্ভবনা আছে বা সামনে বৃষ্টি বা নদী ভাঙনের পরিস্থিতির শিকার হয় তাহলে আমরা সেই ত্রাণ নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবো।