॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোদ্দমেগচামী গ্রামে এ বছর লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক প্রভাষক আব্দুল আলীম খান।
তার ২ একর জমির লিচু বাগানে বিভিন্ন জাতের ৭০টি গাছে ধরা থোকা থোকা লিচুগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এখন তিনি লিচু বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর তিনি লিচুর বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন।
প্রভাষক আব্দুল আলীম খান জানান, তার বাগান বাড়ীর ২০ একর জমির মধ্যে ২ একর জমিতে চায়না-৩, বোম্বাই, মোজাফফরসহ বিভিন্ন জাতের ৭০টি গাছে এ বছর ভালো মুকুল এসেছিল। সেই মুকুল থেকে বর্তমানে থোকা থোকা লিচু বেশ বড় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তিনি গত বছরের তুলনায় বেশী ফলনের আশা করছেন। তবে এ বছর লিচু বাগানের পরিচর্যায় খরচ একটু বেশী হচ্ছে। তার বাগানের লিচু রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা পাইকারী দরে কিনে নিয়ে যান। লিচু বিক্রি করে তিনি বেশ লাভবান হন। এছাড়া নিজেরা খান এবং আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীতে দেন।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, লিচু চাষে তিনি কৃষি অফিসের কোন সহযোগিতা পান না। এ বছর কোন কৃষি কার্মকর্তা তার বাগানের খোঁজ-খবর নেয়নি বা পরামর্শ দেয়নি। কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে তিনি লিচু চাষে আরো বেশী লাভবান হতে পারতেন বলে মনে করেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাখায়াত হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বালিয়াকান্দি উপজেলার লিচু গাছগুলোতে বেশী লিচু ধরেছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে লিচু গাছের মালিকরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। খোদ্দমেগচামী গ্রামের প্রভাষক আব্দুল আলীম খানের লিচু বাগান সম্পর্কে তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে খোঁজ-খবর নেওয়াসহ পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।