॥মাতৃকণ্ঠ ডেস্ক॥ শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি নিহত এবং জামাতা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেলিমের নাতির নাম জায়ান চৌধুরী ও জামাতা নাম মশিউল হক চৌধুরী।
এ তথ্য জানিয়েছে শ্রীলঙ্কাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গেছেন বেড়াতে। তারা উঠেছিলেন কলম্বোর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে।
রবিবার ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে তিনটি গির্জা ও কয়েকটি হোটেলে বোমা হামলা হয়। এর মধ্যে ওই হোটেলের নিচতলার রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করতে গিয়েছিলেন প্রিন্স ও তার বড় ছেলে জায়ান চৌধুরী। ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ সোনিয়া ওই সময় হোটেলের কক্ষে ছিলেন।বোমা হামলায় পর মশিউল হক চৌধুরী আহত হন এবং জায়ানকে অনেকক্ষণ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হাসপাতালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এর আগে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল শিশু জায়ান। রাতে শিশুটির মৃত্যুর খবর পায় পরিবারের সদস্যরা। এই খবরে তারা কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে একাধিক গণমাধ্যমে জানিয়েছে। এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ব্রুনাইয়ে সরকারি সফরে আছেন। সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানী বন্দর সেরি বেগাবানের এম্পায়ার হোটেল অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার আটটি স্থানে সংঘটিত বোমা হামলায় বহু লোক নিহত ও আহত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটি দুঃখজনক ঘটনা হলো শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের পরিবার শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার শিকার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সেলিমের মেয়েজামাই ও নাতি এ সময় একটি রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। সেখানে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মেয়েজামাই আহত হন এবং আজ বিকেল পর্যন্ত নাতির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
রবিবার ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বোমা হামলা হয়। এর মধ্যে হোটেল শাংরি-লার রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তার ভিড়ের সময়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।