সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে

  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের প্রধান বিমান বন্দর হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দীর্ঘ প্রতিক্ষীত তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কার্যাদেশ আগামী জুলাই নাগাদ দেয়া হতে পারে।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের(সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান জানান, কাজটির দরপত্রের মূল্যায়ন চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলাই মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়ার ব্যাপরে আমরা আশাবাদী।
তিনি জানান, দরপত্র আহ্বান করার পর জাপান ভিত্তিক দুটি কনসোর্টিয়াম কাজটি পেতে দরপত্র জমা দেয়। কোম্পানি দুটি হচ্ছে, জাপান শিমিজু কর্পোরেশন এবং টিসুবিশি।
২০১৭ সালের ২৪শে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) বৈঠকে ১৩,৬১০.৪৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। মোট প্রকল্প ব্যায়ের ২,৩৯৫.৬৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং বাকি ১১,২১৪.৭৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা(জাইকা) থেকে।
জাপানে জাইকার সদর দপ্তরে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাপান টেকনিক্যাল প্রস্তাবে সম্মতি দিলে, আমরা এখানে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করবো।
সিএএবি চেয়ারম্যান জানান, তিন থেকে চার বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে বলে তারা ধারনা করছেন।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ প্রকল্পটির অন্ততঃ আংশিক কাজ শুরু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল ভবনে প্রায় ২২.৫ লাখ বর্গফুট স্পেস থাকবে। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে একসঙ্গে প্রায় ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। তৃতীয় যাত্রী টার্মিনালের অংশ সম্প্রসারন প্রকল্পের অধীন ভবনে ৫,৯০০ মিটার ভিভিআইপি কমপ্লেক্স, ৪১ হাজার ২০০ মিটার কর্গো ভবন এবং টানেলসহ বহুমুখী কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরে বার্ষিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি হবে এবং কর্গো ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টনে উন্নীত হবে।
এছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে কয়েকটি এক্সিট ও কানেকটিং ট্যাক্সি পথ নির্মিত হবে। এয়ারপোর্ট রোডের সাথে টার্মিনালের নতুন সংযোগ সড়ক ও ড্রেনও নির্মিত হবে। উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট, পাওয়ার সাপ্লাই, রিসকিউ এবং অগ্নিনির্বাপণ সুবিধাও থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!