॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ভাগ্য গুণেই রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলেয়া বেগম।
গত ২৪শে মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ও কাজী হেদায়েত হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মীর মাহফুজা খাতুন মলিকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।
আলেয়া বেগম(হাঁস) প্রতীকে ৩৬ হাজার ১১৯ এবং মীর মাহফুজা খাতুন মলি কলস প্রতীকে ২৬ হাজার ৬৫২ ভোট পান।
অথচ এই আলেয়া বেগম একসময় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাননি। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও ৭ই মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তবে প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সীমার মাত্র ৫মিনিট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার কারণে রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি। ফলে আলেয়া বেগম প্রার্থী হিসেবে থেকে যান। তবে কি কারণে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন সে বিষয়ে মুখ খোলেননি।
যদি আলেয়া বেগমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন গৃহীত হতো তাহলে মীর মাহফুজা খাতুন মলি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যেতেন। কারণ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী আরো ২জন প্রার্থী(জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী ও বিদায়ী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনূর আক্তার বিউটি এবং মর্জিনা বেগম) আগেই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। যে আলেয়া বেগম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন সেই আলেয়া বেগমই শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে মীর মাহফুজা খাতুন মলিকে হারিয়ে দিয়ে বিজয়ের মালা গলায় পড়লেন।
উল্লেখ্য, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে রাজবাড়ী সদরে, যার পরিমাণ মাত্র ২৫.৬৫%। অন্য উপজেলাগুলোর মধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪৪.৯৭%, পাংশা উপজেলায় ৪৫.৮৮% এবং বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৫৪.২৭% ভোট পড়ে।